পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ধরা যা একখানি বই আছে । তার স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে বলিবার অধিকার হয় কখন ? বইএর ভিতর মে মাল আছে তা যখন দখল করিতে পারি তখন স্বপক্ষে বা বিপক্ষে যদি কিছু বলিতে হয় বইএর মালট। আগে হজম করিতে হইবে । পাঠকদের ভিতর যার স্বপক্ষে বা বিপক্ষে বলিতেছে তাদের হয়ত ব৷ এই বইএর মাল সম্বন্ধে কিছু না কিছু জ্ঞান আছে, তা নইলে এ সম্বন্ধে কিছু বলিতে পারে না । এ অতি সোজা কথা । বইটা বুঝিতে হইলে কিকি জানা দরকার ? অনেক কিছু ; কিন্তু প্রধানতঃ দুনিয়া, কেনন। ইংরেজেরা, ফরাসীরা, জাম্মানরা, মাকিণরা, জাপানীর। ১৯১৮ সন হইতে ১৯১৫ সন পর্য্যন্ত এই এই করিয়াছে, ১৯২৬২৭ সনে এই এই কাজ করিতে চাহিতেছে এ সব কথা রিপোর্টগুলায় লেখা থাকে । এ সম্বন্ধে সমালোচনা হইতে পারে কখন ? আমি যদি জানি যে জাম্মানি ১৯১৮ সনে বাস্তবিক পক্ষে অমুক অমুক কাজ করিয়াছে, জাপান ১৯২৫ সনে এই এই করিয়াছে, ১৯১৫ সনে ইংরেজের অমুক ধরণের কাজ করিয়াছে তবেই এই সকল তথ্যবিষয়ক বইয়ের সমালোচনা কর! সম্ভব । থাকো ভুলে দেশটাকে কয়েক বৎসর যখন সুভাযকে বল্লাম-“থাকে ভুলিয়া দেশকে বছর কয়েক, আর যাও চলিয়া ইয়োরোপে আমেরিকায় জাপানে” তখন গোটা ভারতের অনেককেই একথা বলিয়াছি। ভারতের নরনারীকে ঠেলিয়া তুলিবার কলই হইতেছে বিদেশ-নিষ্ঠ । এই দুনিয়া-নিষ্ঠার যুক্তিশাস্ত্রটা আরও তলাইয়৷ বুঝা যাক। মামুলি ছাত্রের মতন বিদেশ হইতে ডিগ্ৰী আনিবার কথা বলিতেছি না। যে লোকটা দেশেই এল এ, বি-এ, পাশ-ফেল করিয়াছে, অথবা যে লোকটা বিদেশ হইতে ডিগ্ৰী লইয়া আসিয়াছে, যে লোকটা