পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)రిస్చి নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কথা হইতেছে, বিদেশ-দক্ষত। আর বিশ্বনিষ্ঠা আমাদের ভারতে দেশোন্নতির একটা মস্ত বড় কৰ্ম্মশক্তি । ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জাৰ্ম্মাণি বনাম ইংল্যাণ্ড আজকাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে আলোচনা চলিতেছে। কয়জন বাঙালী বা ভারতবাসী এই বিষয়ে আলোচনা করিতেছে ? রামচন্দ্র মল্লিক আর হরিহর পোদ্দার, হরিহর পোদ্দার আর রামচন্দ্র মল্লিক, ইসমাইল আর আবদুল, আবদুল আর ইসমাইল । ব্যস। এই পর্য্যন্ত । কজনের নাম করা হইল ? দুজন, চারজন না আটজনের ? যে কজনেরই হউক,—এই কয়ট নামও বাস্তবিক পক্ষে গোট বাঙলায় টড়িয়া পাওয়া যায় না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে কোনে। বাঙালী “স্বাধীনভাবে” এ পর্য্যন্ত কিছু বলিয়াছে কিনা সন্দেহ । যদি ভারতে কেহ কিছু বলিয়া থাকে তারা বোধ হয় সকলেই ম-বাঙালী । গুনতিতেও তার চারজনমাত্র । তবে একথাও জানা আবশ্বক যে, তারাও যা কিছু বলিয়াছে সবই বিদেশ সম্বন্ধে তাদের যতটুকু জ্ঞান আছে তারই জোরে । অর্থাৎ বর্তমান ভারতে স্বদেশ-সেবক হিসাবে পাকা লোক মাত্র সেই কয়জন যাদের বিদেশী ব্যাঙ্কের কার্য্যপ্রণালী আর ধরণ-ধারণ অল্পবিস্তর জানা আছে,—বই পড়িয়াই হউক বা বিদেশে গিয়াই হউক । যা, এই ব্যাঙ্কটা সম্বন্ধে এই উপলক্ষে দু-একটা কথা বলিয়া যাইতেছি । “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক” নামটা আসিয়াছে আমেরিকা হইতে । কিন্তু এর যা-কিছু কাম—সে সমস্ত আসিয়াছে জাৰ্ম্মাণি থেকে । অথচ রিপোটের ভিতর কোনে জায়গায় জাৰ্ম্মানির নাম পর্য্যন্ত আছে কি না সন্দেহ। কিন্তু রগড়ের কথা জাৰ্ম্মানি এই প্রণালীটা পাইল কোথায় ? ১৮৭৫ সনে জাৰ্ম্মানি একটা ব্যাঙ্ক খাড়া করে । তার। দেখিল ইংরেজ ১৮৪৪ সনে ঐ রকম কারবার করিয়াছিল। সেটা ত্রিশ বংসর ধরিয়া