পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন চাহিতেছি—ভারতের জন্ত গবৰ্ণমেণ্ট যে কমিশন বসাইয়াছে তাতে এতিয়ার থাক। সত্ত্বেও তার ইংরেজ প্রণালীটা লয় নাই। যে প্রণালাটা আজ তুনিয়ায় টেকসই বলিয়া জগতের লোক স্বাকার করে—গতিশীল ব্যাঙ্ক — সেই প্রণালী তারা ভারতবর্ষে আনিয়া হাজির করিতে চায় । কোনো বাঙালী বোধ হয় “স্বাধীন” ভাবে তার স্বপক্ষে কি বিপক্ষে সমালোচনা করে নাই। তবে বাঙলাদেশে তার ভারতে এমন লোক আছে যার। গবর্ণমেণ্ট যা করিতেছে তার বিরুদ্ধে কিছু বলিবেই বলিবে । বাঙলার বাইরে সার। আলোচনা করিতেছে তার বলিয়াছে “এই কমিশন থেকে যখন একটা গতিপন্থী ব্যাঙ্কের মেসোবিদ বহির হইয়াছে তখন এর ভিতর ইংরেজদের নিশ্চয়ই শয়তানি বুদ্ধি আছে । আমরা ঐ প্রণালী চাই না । আমর চাই স্থিতিশীল বিলাতী প্রথার ব্যাঙ্ক !” যাচ চলে ১৮৪৪ খ্ৰীঃএর মান্ধাতার আমলের যে ব্যাঙ্ক প্রণালী তাকে নতুন গড়ন দিয়৷ জাৰ্ম্মাণি জাপান আমেরিক একটা ভাল কিছু খাড়া করিল, আর আমাদের স্বদেশ-সেবকগণ স্তির করিলেন তার বিরুদ্ধে বলিতেই হইবে। এর ফলাফল আমার আলোচ্য নয়। আমি কাজের কথা কিছু বলিতেছি না, বলিয়াছি স্বদেশসেবার শুধু আলোচনা-প্রণালীটী বিশ্লেষণ করিতে চাই। বিশ্ব-নিষ্ঠার যুক্তিশাস্ত্র সেটা হইতেছে এই । ভারতবর্ষে যে সব কাজ চলিতেছে তার যদি সমালোচক হইতে চাহেন, তার স্বপক্ষে বা বিপক্ষে যদি কিছু বলিতে চাহেন অথবা দেশটাকে যদি হিড় হিড় করিয়া চিন্তাক্ষেত্রে আর কৰ্ম্মক্ষেত্রে টানিয়া লইয়া যাইতে চাহেন তা হইলে আপনাকে বিশ্ব-দক্ষতায় পাকিয়া উঠিতে হইবে । কোন মতটা ভাল, কোন মতটা খারাপ আর কোন প্রণালীতেই বা কাজ করিতে হইবে সে কথা সম্প্রতি বলিতেছি না ।