পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o. নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন S AAAAAA AAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA AAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS স্তানে কেন্দ্রীয় কমিটি রহিয়াছে। তাহ নিকটবৰ্ত্তী কলসমূহের শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি লইয়া গঠিত। এইসব কেন্দ্রস্থানের প্রধানদিগকে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট বলা হয় । তাহারাও শ্রমজীবী, এবং শ্রমজীবীদের দ্বারাই নিৰ্ব্বাচিত । ইহারাই সমিতির সেক্রেটারী এবং সেই জন্যই সমিতির কার্য্য-নিৰ্ব্বাহক-মণ্ডলীতে ইহাদের স্থান আছে । মাসিক চাদ ছাড়া ইহার আয়ের আর কোনো উপায় নাই। চাদার প্রায় এক তৃতীয়াংশ সমিতির সংস্থাপন ও প্রচার কার্য্যে খরচ করা হয় এবং বাকী দুই-তৃতায়াংশ উপকার উদ্দেশ্যে ব্যাঙ্কে জমা থাকে। মালিকদের বিরুদ্ধে নালিশ চালানে সমিতির কার্য্যতালিকায় প্রধান স্থান অধিকার করিয়া থাকে। বোম্বাইয়ের তাতা-মজুরদের সংখ্যা ধরিলে, তাহার তুলনায় ইহার শক্তি অতি ক্ষুদ্র । সমিতির সভ্য-সংখ্যা বাড়াইবার জন্য চেষ্টা চলিতেছে। কিন্তু পথে অনেক বিপ্ল-বাধা । প্রথমতঃ, যদিও শ্রমজীবীদের এই সমিতির প্রতি অনেক নিয়োগকারী সহানুভূতি-সম্পন্ন, তবু সকলে সেরূপ নহেন। দ্বিতীয়তঃ, শ্রমের ক্ষেত্র এরূপ বিস্তৃত যে, সমিতি তাহার এই শৈশব অবস্থায় অর্থাভাবে সমস্ত স্থানের তত্ত্বাবধান এবং চাদী-সংগ্রহের জন্য কৰ্ম্মচারী নিয়োগ করিতে অসমর্থ। তৃতীয়তঃ, শ্রমজীবীর। অশিক্ষিত হওয়ায়, সমিতি তাহার সামান্য কয়জন কৰ্ম্মচারীর সাহায্যে এই সঙ্ঘের আবশ্যকতা কি, তাহা তাহাদিগকে সমঝাইতে পারিতেছেন না । যাহা হউক, অন্যান্ত দেশের মতন ভারতেও মজুরসমাজ ক্রমশঃ আত্মপ্রতিষ্ঠার ও স্বরাজ-লাভের দিকে অগ্রসর হইতেছে। মজুরদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটিলেই অন্যান্য দেশের মতন ভারতেও জনগণের স্বরাজ ও স্বাধীনতা পাকা বনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত হইবার কথ। । ইহাই ধনবিজ্ঞানের অন্যতম রাষ্ট্রীয় উপদেশ ।