পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>SV) নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন দোসগুল বাজারে নাই বাহির হইল।” এই রকম কেবল চাপিয়া যাওয়৷ আর চাপিয়া যাওয়া । যখন একজন কেহ স্বদেশী-মার্ক হইলেন এবং তিনি কংগ্রেস টংগ্রেসে একট। বক্তৃত করিলেন, তার যাইবে কোথায় ? "দেশের নেতা” বনিয় গেলেন ! “নামজাদ লোক ! হাটে ক্টাড়ি ভাঙ্গিবি ? অারে তা হইলে দেশের মুখে চণ কালি পড়িবে যে ” এই চিন্তাপ্রণালী চলিতেছিল। সকলেই চাহেন তোয়াজ, প্রশংসা, গুণকীৰ্ত্তন আর পদলেহন । সমালোচনা বিশ্লেষণ, তুলনাসাধন, এ সবের ধার কেহুই ধরিতেন না । এহেন স্বর্ণযুগে,—যুবক বাঙলার জন্মকালে বিশ একুশ বৎসর পূৰ্ব্বে যে প্রতিষ্ঠান দাড়াইয়াছিল সেট। একেবারে হাতে হতে আত্ম-সমালোচনা লইয়া হাজির হইল । বঙালার সাধের এই স্বদেশী ব্যাঙ্ক বলিয়া দিল, “মধুর বহিবে বায়ু বেয়ে সাব রঙ্গে, মানব জীবন তা না । যে জিনিষটা নিজের হাতে গড় তাকেও নিষ্ঠুরভাবে ভাঙ্গিতে শিখা দরকার । ভাঙ্গিয় আর একটা কিছু গড়িতে হইবে । তার জন্ত ত্যাবশ্যক এক প্রকার আধ্যাত্মিক চরিত্র-বল। যখন- তখন যাকে-তাকে স্বদেশ-নিষ্ঠ বলিয়া গড়গড়ি করিয়াছিস ! আহাম্মুক তোর ” ইত্যাদি । যখন সকলে বলিতেছে, “তায় বাংল। দেশের কি হইবে ? বাংলাদেশের রুবি শিল্প বাণিজ্য একদিনে পূলিসাৎ হইল” নব্য-দ্যায় তখন বলিয়া দিল, “এই মূহূর্তে বাংলাদেশের কৃষি শিল্প বাণিজ্য নিরেট বনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত হইতে চলিল—শুধু বোলচালের উপর নয়। কেননা বাঙালীর গলদ খোলাখুলি বাহির হইয়া পড়িয়াছে। বাঙালী আর নামজাদ লোক মাত্রের পা চাটিতে ঝুকিবে না, অথবা স্বদেশী শব্দে আহলাদে আটখানা হইবে না।”