পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-সেবার নব্য-দ্যায় ১৩৭ মফঃস্বলের ব্যাঙ্ক-মাহাত্ম্য আমরা মনে করি ১৯০৫ কিংবা ১৯১৫৷২৫ সনে যে কয়ট লোক সত-সমিতেন্তে বক্তৃতা করিয়াছে সেই কয়টা লোকই বাংলাদেশে একমাত্র “ন্যাশনাল” । সে লোকট নিজের ঢাক পিটিতে পারে সেই লোকটাকেই দেশের লোক কৰ্ম্মবীর ও স্বদেশী নেতা বলিয়। থাকে । কিন্তু বিপদ হইতেছে, বেঙ্গল ন্যাশন্তাল ব্যাঙ্কের মত শ’তিনেক কি সাড়ে তিন শ’ ব্যাঙ্ক বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মজুত আছে। একটা চরম কথা বলিতেছি দুষ্টান্ত স্বরূপ । এই ধরণের একশ’ ব্যাঙ্কও যদি তাজ পটল তুলে, তন্ত্র বাঙ্গালীর ট্যাকে দু’শ আড়াইশ ব্যাঙ্ক থাকিবেই থাকিবে । আপনারা জানেন—মফঃস্বলে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক আছে ১৩,০০০। এই যে শ’তিনেক ব্যাঙ্কের কথ। বলিতেছি সে সব আলাদা, খাটি জয়েণ্ট ষ্টক প্রণালীতে শাসিত । কাজেই আপনি যদি বলেন “ছায়, সৰ্ব্বনাশ হইয় গেল, বাঙালীর মুখে চণকালী পড়িল”, আমি বলিব “এসব হইতেছে অতিরঞ্জিত কথা, অবুঝের মত আবল-তাবল বকা ।” “মাড়োপ্পাড়ার” বলিতেছে “আহ, বাঙালীরা একটা ব্যাঙ্ক দাড় করাইয়াছিল, নষ্ট হইয় গেল, দুঃখের কথা।" তার সমবেদন দেখাইতেছে। ইংরেজ বলিতেছে—“যুবক বাংলা ইংরেজের সঙ্গে, পার্শীর সঙ্গে টক্কর দিবে, যুবক বাংল। আপন পায়ে দাড়াইয়া আমাদের সঙ্গে সমানে সমানে চলিবে—সে জন্য একটা ব্যাঙ্ক খাড়া করিয়াছিল । হায়, গেল। বড়ই আপশোধের কথা" ইত্যাদি। এই যে ইংরেজের ও মাড়োয়াড়ীর সমবেদন —এতে যদি কোনো বাঙালী বিচলিত হন তা হইলে বুঝিব তিনি পুরোণে ন্তায়-শাস্ত্রের উপাসক । নব্য-দ্যায়ের উপাসক যে হইবে সে বলিবে “বহিয়া গিয়াছে, যেটা গড়িয়াছিলাম সেটা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছি—তার কবরের উপর দাড়াইয়া