পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉○br নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন নতুন কিছু খাড়া করিয়া দেখাইব । এখন আমাদের য। কিছু আছে তারই জোরে বলিতে পারি বাঙালী জাতের ইজ্জং মায় নাই, বরং ১৯০৫ সনের তুলনায় ১৯২৭ সন স্বর্গের জিনিষ । ফরাসী জাম্মাণ ইংরেজ জাপানীর তুলনায় ১৯২৭ সনের বাংল অতি সামান্য বটে, তল ১৯০৫৷১৯১৫ সনের বাংলায় যে কম্মদক্ষত শক্তিযোগ বা শিল্পনিষ্ঠ ছিল তার তুলনায় ১৯১৭ সনের বাংল। অনেক উচু।” ১৯১৪ সনের গোড়ায় আমি সে বাংলাদেশ ছাড়িয়া গিয়াছিলাম তার চেয়ে অনেক বড় ও উচু বাংলা দেখিতেছি আজ বিদেশ থেকে ফিরিয়া আসিয়া,—সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রে আর চিন্তাক্ষেত্রে । কাজেই বেঙ্গল ন্যাশন্তাল ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধ ইষ্টয়া গেল বলিয়া চাতকার করা আর মাড়োয়াড়ী ও ইংরেজের “তায় বাঙালা জাতি, তোদের কি হইবে ?”—ইত্যাদি কথা শুনিয়া ভামরতি খাওয়া নব্য দ্যায়ের দস্তুর নয় । দেখিতে পাইতেছেন আগে আমি দুনিয়া নিষ্ঠার কথা, বিদেশ দক্ষতার, বিশ্ব-নিষ্ঠার কথ। বলিয়াছি । এখন বলিতেছি মফঃস্বলের ব্যাঙ্ক-কৃতিত্ব, পল্লীর কীৰ্ত্তি । আমার নব্য-দ্যায়ের এক হাতে দুনিয়া,—আমেরিকা, জাম্মাণি, জাপান, আর এক হাতে পাড়াগ, মফঃস্বল, পল্লী । আমি চাই রামপুরহাটের সঙ্গে প্যারিসের যোগাযোগ, বজবজের সঙ্গে নিউইয়র্কের আত্মীয়ত, বালিনের সঙ্গে নবাবগঞ্জের দহরম মহরম । বাংলার পল্লীগ্রামের সঙ্গে দুনিয়ার, আর নিয়ার সঙ্গে বাঙালীর পল্লীগ্রামের নিবিড়তম সাক্ষ্যৎ সম্বন্ধ কায়েম করিতে পারিলে বুঝিতে পারিব দস্তুর মতন নব্যদ্যায়ের কাজ চলিতেছে । স্বাস্থ্য-নিষ্ঠ বনাম আর্থিক অবস্থা এখন দফায় দফায় নব্য-দ্যায়ের প্রয়োগ দেখাইতেছি । স্বাস্থ্য সম্বন্ধে কিংবা সৌন্দর্য্য-জ্ঞান সম্বন্ধে যখন আমাদের কোনো গলদ বাহির হইয়া