পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*–ی._w У 8 o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আড়াই মাইল ঘুরিয়া আসিল আর একজন সে সময় হাত পা ছড়াইয়৷ দুঘর বন্ধ-কর| ঘরে ঘুমাইয় পড়িল । আর্থিক সু-কু যদি মানুষের ব্যক্তিয়ের প্রধান শক্তি হয় তা হইলে এই দুটা লোক সমান অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও একজন চেকিতে পড়ি চিৎ হইয় থাকে কেন, আর একজন ব৷ বেড়াইতে যায় কেন ? দুজনের একসঙ্গে ফুটবল দেখিতে যাওয়া উচিত ছিল অথবা এক সঙ্গে বিছানায় পড়িয়া থাক। উচিত ছিল । তার এক কথা । আমাদের দেশে গরীব লোক আছে বটে, কিন্তু ধনী লোক ও আছে । হাজার হাজার অটোমোবিল বাঙালীর। খরিদ করিতেছে। লথ লাখ টাকার সম্পত্তিওয়ালা বাড়াঘরের মালিক বাঙালী তাছে অনেক । কিন্তু তাদের আবহাওয়ায় স্বাস্থ্যজ্ঞান সেনযা-জান মালুম হয় কি : কলিকতায় যতগুলি বাড়ী আছে সে সব বাড়ীর উঠানে গিয়া কোন লোক বলিবে সে এখানে স্বাস্থ্যরক্ষ হইতে পারে ? উঠানের সম্মুখে, সিড়িতে, সিড়ির গায়ে, ঘরের কোণে, ছাদে দেয়ালে সৰ্ব্বত্র থুথু পানের পিক, বুল আর যুগযুগান্তরের ধুলাময়লা জড় হইয়াছে। কিন্তু বাড়ীর মালিকের বা ভাড়াটিয়ারা সকলেই গরব কি ? অনেকেই ধনী । কিন্তু যাদের ধন আছে তাদের ভিতরও সাধারণতঃ ন আছে স্বাস্ত্যনিষ্ঠ, না আছে সৌন্দয্য-নিষ্ঠ । আমি গরীব, আমার বাড়া যেমন নোংরা, লক্ষপতি যে, বড়লোক যে, তার বাড়ীর ফরাস, দেওয়াল ইত্যাদিও ঠিক সেই সুরে গাথা, আমারই নোংরামির জুড়িদার । অর্থাৎ বড়লোক হইলেই যে মানুষ স্বাস্ত্য-নিষ্ঠ বা সৌন্দর্য্যজ্ঞানশীল হইবে একথা স্বতঃসিদ্ধ রূপে স্বীকার করা চলে না । ১৯০৫ সনের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমি এখানে কাজের কথা বলিতেছি না, শুধু আলোচনাপ্রণালীর কথা বলিতেছি । আমার বক্তব্য হইতেছে,—আর্থিক অবস্থা উন্নত