পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-সেবার নব্য-স্যায় Ꮌ8Ꮍ হইলে পর যদি আমরা স্বাস্থ্য-সৌন্দর্য্যের চচ্চা সুরু করি তা হইলে বাঙালী জাত কোন দিন স্বাস্থ্যশীল বা সৌন্দৰ্য্যজ্ঞানশীল হইতে পারিবে না। এই যে বিশ বাইশ বৎসর চলিয়া গেল এর ভিতর আমাদের আর্থিক অবস্থা আকাশপাতাল বদলিয়া গিয়াছে বলিয়| আমি স্বীকার করি না । আগেও ঠিক আমরা মোটের উপর এই রকম দরিদ্রই ছিলাম। তা সত্ত্বেও যুবক বাংলা কোনে কোনো বিষয়ে অসাধ্য সাধন করিয়াছে। কিসের জোরে করিয়াছে ? যদি দৈন্য-দারিদ্র্য ব্যক্তিত্ব-বিকাশের একমাত্র বা প্রধান বাধা হয় – ত হইলে ১৯০৫ সনের আগে যুবক বাংলা যা ছিল ১৯২৭ সনে তার ঠিক সেই রকমই থাকা উচিত ছিল। কিন্তু দেখিতে পাইতেছি আর্থিক অবস্থা প্রায় এক রকমই রহিয়াছে। অথচ যুবক বাংলার কার্য্যশক্তি নানাদিকে হু হু করিয়া ছুটয়া চলিয়াছে। আর্থিক অবস্থার উপর মানুষের ব্যক্তিত্বট আগাগোড়া নির্ভর করে না। অতএব আজ যদি মনে করেন যে স্বাস্থ্যরক্ষা করা উচিত, টাইফয়েড যক্ষ্মা ইত্যাদি ব্যারাম থেকে কলিকাতাকে আর বাংলাদেশকে বাচাইতে হইবে, তা হইলে ১৯০৫ সনে সুবক বাংলা দরিদ্র থাকা স্বত্ত্বেও যেমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করিয়াছিল “আমরা বাংলায় নতুন জীবন আনিয়া ছাড়িবই ছাড়িব” তেমনি ১৯২৭ সনে অন্ত দিককার কথা সম্প্রতি বলিতেছি না, —স্বাস্থ্যজ্ঞান সেন্দর্য্যজ্ঞান সম্বন্ধে সেইরূপই এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা উচিত। যুবক বাংলা জোরের সহিত স্বাস্থ্যধৰ্ম্ম জারী করুক আর বলুক - “নিজের চৌকিটা নিজে ঝাড়িব, ধলা সমেত জুতা লইয়া ঘরে ঢুকিব না, পায়খানার গামলা নর্দম৷ নিজে সাফ করিব, ঘর দুয়ার নিজে পরিষ্কার করিব, যেখানে-সেখানে থুথু ফেলিব না বা কুলকুচো করিব না, দেখি টাইফয়েড ইত্যাদি ব্যারাম কেমন করিয়া আসে ?” এসব সম্বন্ধে সতর্ক হওয়া গরীব বা বড়লেক হওয়ার উপর নির্ভর করে