পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-সেবার নব্য-স্যায় S8& নব্য-দ্যায় বলিতেছে—“ভ্রাতৃত্ব আর সাম্য বস্তু হিসাবে সংসারে যদি আজ কিছু আসিয়া থাকে তবে সে সব আসিয়াছে প্রধানতঃ বা একমাত্র মজুর আন্দোলনের দৌলতে। মেদিন ইয়োরোপে প্রথম যন্ত্রনিয়ন্ত্রিত ফ্যাক্টরী ও লোকবহুল নগর প্রতিষ্ঠিত হইল, সেই দিন তার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার লম্বা লম্বা কুলীর বাথান কায়েম হইল। সেদিন নতুন ধরণের এক গোলামা প্রতিষ্ঠিত হইল। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গেই আবার গোলামার মে দাওয়াই মনিবের সঙ্গে সমানে কথা বলা, “আমি আমার জীবন শাসন করিব” এই নীতিটাও প্রতিষ্ঠিত হইল। আজ মজুরের সংঘবদ্ধ হইয়৷ মনিবের সঙ্গে সমানে সমানে কারবার চালাইতেছে আর বলিতেছে — “আমিও মানুষ, আমাকেও সেলাম ঠুকিয়া চল ।” আজ দুনিয়ায় আসিয়াছে যথার্থ সাম্যের যুগ, যথার্থ লাভৃত্বের যুগ । যে সাম্য, যে ভ্রাতৃত্ব খ্ৰীষ্টানধৰ্ম্ম পূৰ্ব্বে কখনও স্থাপন করে নাই, কল্পনাও করে নাই, গ্রাস কখনো চাথে নাই, হিন্দু-মুসলমানের কারদার কখনও আসে নাই, সেই ভ্রাতৃত্ব, সেই সাম্য আজ আসিয়াছে, বাড়িয়া চলিয়াছে, বাড়িয় চলিবে। এমনি করিয়া এই ভারতেও সে সব আসিয়া হাজির হইবে । যে শক্তির জোরে এই সাম্য আসিতেছে যে শক্তিটা মামুলি দ্যায়শাস্ত্রের কল্পনায় আসে নাই। সেই শক্তি হইতেছে মজুরের সংঘশক্তি। অতএব যদি ভ্রাতৃত্ব ও সাম্য বাঞ্ছনীয় জিনিষ হয় তা হইলে তাকে ধৰ্ম্ম গীর্জা বা নীতির ঘাড়ে ফেলিঃ৷ রাখিবার প্রয়োজন নাই। যেমন স্বাধীনভাবে স্বাস্থ্যের আন্দোলন, স্বাস্থ্যের কার্য্য চাই, স্বাধীনভাবে সৌন্দর্য্যের আন্দোলন, সৌন্দর্যোর কার্য্য চাই, তেমনি স্বাধীনভাবে একনিষ্ঠ মজুর আন্দোলন চাই, মজুরসংঘ কায়েম করা আবশ্বক। আভিজাত্যের প্রবল সমুন • হইতেছে মজুর। — ` দ্বি ☽ ❍