পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুবক বাঙলার কৰ্ম্মক্ষেত্র S > কারখান-ভারত আর মজুর-ভারত দুই’ই একালের ভারত। এই ধরণের অন্যান্ত দফায়ও ভারতকে বাড়তির পথে অগ্রসর দেখিতে পাই | সম্প্রতি সকল কথা বলিবার দরকার নাই । “আধুনিক ভারভ”-সঙ্ঘ ১৯০৫–৭ সনের তুলনায় যুবক বাঙলা আজ খুব বড়। আমরা বাস্তবিকই একটা "বৃহত্তর বঙ্গে” বাস করিতেছি। কিন্তু তথাপি বলিব যে, বাঙ্গালীর চিত্ত এখনো অতি সঙ্কীর্ণ। বাঙ্গালী নরনারী আজও বাংলার বাহিরের ভারত সম্বন্ধে প্রায় পূরাপুরি অজ্ঞ ও অন্ধ। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ জ্ঞানে ও কম্মে বাড়িয়া চলিয়াছে। সেই বাড়তির সংবাদ বাঙালী জাতি, বাঙলা সাহিত্য, বাঙলা দেশ বড় একটা রাখে না । বাঙালীর চেতন। ভারতের ডাকে যথার্থরূপে সাড়া দিতে অসমর্থ। বাঙলা দেশে ভারতবর্ষকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য যুবকবঙ্গের ভাবুক আর কম্মদক্ষ নরনারী শক্তিযোগের পরীক্ষা দেখাইতে অগ্রসর হউন। পাচ সাত দশ বৎসরের পূৰ্ব্বেকার মাপকাঠিতে জীবন যাচাই করা যৌবনধন্মের পক্ষে অসম্ভব। এই বুঝিয়া আমাদের কাজে নামিতে হইবে । “আধুনিক ভারত” নামক একটা সঙ্ঘের স্বষ্টি হইলে বাংলা দেশের একটা মস্ত দারিদ্র ঘুচিবার সম্ভাবনা আছে। বাংলার যে বনশক্তির দেড়আনা বা দুইআন অংশ এই দিকে উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেই আমরা বৃহত্তর জীবনের একটা নতুন ধাপ লইতে সমর্থ হইব । এই সম্বন্ধে একটা প্রস্তাব পেশ করিতেছি । সত্তঘটার পরিচালনা সম্বন্ধেও কয়েকটা ইঙ্গিত দিয়া যাইতেছি ।