পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꭹ8Ꮼ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন চাই মজুর-নিষ্ঠা একশ’ বছরের মজুর-আন্দোলন দুনিয়ায় কিছু কিছু সাম্য আনিয়াছে, ভ্রাতৃত্ব আনিয়াছে, ডেমক্রেসী আনিয়াছে। কিন্তু আপনার প্রশ্ন করিতেছেন, “তাতে মানুষের সুখ বাড়িয়াছে কি ?” বাড়িয়াছে—চরম বাড়িয়াছে । পৃথিবীতে যে সকল সুখ কখনো কোনোদিন কেহ কল্পনা পয্যন্ত করিতে পারে নাই, মামুষের শাস্ত্রে, মানুষের জ্ঞানে, মানুষের আধ্যাত্মিকতায় যে-সব আনন্দের নাম পৰ্য্যস্ত ছিল না ত| আজ ১৯২৭ সনে এক সঙ্গে দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি লোক ভোগ করিতেছে। গ্ৰাস লাখ লাখ লোককে গোলাম করিয়া রাখিয়াছিল, ভারতে এবং ভারতের বাহিরে এক এক জন জমাদার, এক এক জন রাজা, লক্ষ লক্ষ নরনারীকে নিৰ্য্যাতন করিয়া এক একট। পল্লা সংর বা জেলার উপর একচ্ছত্র আধিপত্য ভোগ করিয়াছে। এক একটা অট্টালিকা খাড়। করিয়াছে, তার পাশে রহিয়াছে শত শত কুড়ে ঘর । কত লোক যে মহামারাতে মরিয়াছে তার পাস্ত পাওয়া যায় না । আজ একশ দেড়শ বৎসর ধরিয়া শিল্পবিপ্লবের দৌলতে প্রতিদিন সজ্ঞানে সুখের সামান বাড়ানো হইতেছে, আনন্দের চৌহদ্দি বাড়ানো হইতেছে । সজ্ঞানে আলোক বাড়াইবার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারের সামানা কমিয়া কমিয় আসিতেছে । মজুরের সংঘশক্তি নিয়াকে ধারে ধীরে অমৃতের দিকে ঠেলিয়া লইয়া যাইতেছে। সমাজ-ব্যাপী এই অন্ধকার-নিবারণের সজ্ঞান চেষ্টা, অমৃত-সন্ধানের সজ্ঞান আন্দোলন বড় লোকের করেন নাই। তাদের ছাড়ে-মাসে সে চেষ্টা আসে নাই । কখনো কখনো কোনো শিক্ষিত লোকের মাথায় আসিয়াছে বটে, কিন্তু প্রধানতঃ এই অমৃতের সন্ধান আসিয়াছে