পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-সেবার নব্য-দ্যায় S8% অশিক্ষিত পদদলিত নিৰ্য্যাতিত মজুর শ্রেণীর চেষ্টায়। এখনও যথেষ্ট গলদ রহিয়াছে। সাম্য-লড়াইয়ের ফৌজের কেহ কোনোদিন ধারণা করে ন। যে দুনিয়া স্বর্গে উঠিয় গিয়াছে অথবা এইখানেই স্বর্গের শেষ ধাপ । পৃথিবীর সভ্যতা ছুটির চলিয়াছে। কোথায় গিয়া শেষ হইবে কেহ জানে না । সুখ-বিজয়ের সিপাহার। সৰ্ব্বদাই অন্ধকার থৰ্ব্ব করিবার জষ্ঠ এখনও প্রস্তুত। মজুর-আন্দোলন বলিতেছে—“যখন যেখানে ধনী-নিদ্ধনে কোনো প্রকার বিরোধ আর সামাজিক দুঃখ ও অবিচার দেখিতে পাই তখন সেখানে সেই সমস্ত সমাধান করিবার জন্তই আমার আবির্ভাব ।” তাই নব্য-দ্যায়ের বাণী হইতেছে এই যে, ধৰ্ম্ম থাক বা ন৷ থাক, সাম্য ভ্রাতৃত্বের জন্ঠ দেশশুদ্ধ, লোকের মঙ্গলের জষ্ঠ, সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠার জষ্ঠ, মজুর-নিষ্ঠ অত্যাবগুক । চরিত্রবত্ত বনাম স্বাধীনতা নব্য-ষ্ঠায়ের আর এক প্রয়োগ-ক্ষেত্র খুলিয়া ধরিতেছি। আমরা সব সময় বলিয়! থাকি যে, আমরা অনেক কিছু ভাল কাজ করতে পারিতাম, আমাদের নরনারার চরিত্রে উন্নত হইতে পারিত, দেশটা যদি স্বাধীন হইত। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার সঙ্গে জাতীয় চরিত্রের তার ব্যক্তিত্বের নিবিড় যোগ একটা স্বতঃসিদ্ধ স্বরূপ স্বাকার কর। আমাদের রেওয়াজ। আমি বলিতে চাই না যে, স্বাধীনতার সঙ্গে জার্তায় চরিত্রের সম্বন্ধ নাই | সহজেই স্বীকার করা যাইতে পারে যে, স্বরাজ থাকিলে, জাগতিক আত্ম-কর্তৃত্ব থাকিলে বড় বড় কাজ কর। সহজ হয়, অনেক সদগুণেরও বিকাশ সম্ভবপর হয়। কাজেই স্বাধীনতার আন্দোলন চাইই চাই। কিন্তু দেখা গিয়াছে যে, চুরি জুয়াচুরি বাটপাড়ি য। কিছু দুনিয়াতে ঘটে সবই একমাত্র গেলামীর ফলে ঘটে না । তা যদি