পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y&S নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন করিলাম। এ বেশ স্বাভাবিক কথা। অপর পক্ষে হয়ত আমি খাইতে পাইতেছি না, লেখাপড়া শিখিতে পাইতেছি না, তুনিয়ায় আমার কেত নাই । আমি যদি বলিতে চাই যে, আমাদেরকে নামজাদ করিয়া দাও, আমাদের জন্ত খবরের কাগজ চালাইবার ব্যবস্থা করিয়া দাও, আমাদেরকে টাকা পয়সায় বড় লোক হইবার সুযোগ তৈরি করিয়া দাও, আমরাও একটা দল গড়িয়া তুলি, তা হইলে একটা অস্বাভাবিক কিছু ঘটিবে কি ? নব্য ন্যায় তাই প্রশ্ন করিতেছে, “মজুরের সঙ্গে মনিবের হৃদয়ের যোগাযোগ কোথায় ? উকিলের সঙ্গে হাটয়ার হৃদয়ের যোগাযোগ কোথায় ? পয়সাওয়ালা মুসলমানের সঙ্গে গরীব মুসলমানের হামদদি কোথায় ? যে মাঝি নৌকা চালাইতেছে সে যে-কথা বলিতেছে তার সঙ্গে ডাক্তারের স্বার্থের যোগাযোগ কোথায় ?’ ইত্যাদি। এই যোগাযোগ আর হামদদি মখন নব্য-ন্তায় দেখিতে পাইতেছে না, তখন উকিল, ইস্কুলমাষ্টার, ডাক্তার আর তথাকথিত ভদ্রলোক এবং পয়সাওয়াল লোকের ধাপ্পাবাজিতে কেন অন্তের। ভুলিয়া থাকিবে ? অতএব বাংলদেশের যে ব্যক্তি যেখানে আত্ম-কর্তৃত্বের তাভাব দেখিতে পাইতেছে —বিদ্যার অভাবে, স্বাধীনতার অভাবে, পদমর্য্যাদার অভাবে, টাকাকড়ির অভাবে ফুটয় উঠিতে পারিতেছে না, সেই ব্যক্তি সেখানে নতুন দেশ, নতুন সমাজ, নতুন বাংলা গড়িয়া তুলিতে সম্পূর্ণ অধিকারী ! তাতে যদি পুরোণে “বাবু-ভায়া”, “ভদ্রলোক”, “জন-নায়ক ”, “মিঞা ছাহেব” ইত্যাদির সঙ্গে নতুনের ঝগড়া বাধে, বাধুক | এই ঝগড়ায় দেশ বড় ছাড়া ছোট হইতে পারে না । আমি ভারতীয় ঐক্য, হিন্দু-মুসলমানের ঐক্য, মুসলমানে-মুসলমানে ঐক্য, অথবা হিন্দুতে হিন্দুতে ঐক্য ইত্যাদির বুখনি বুঝি না। আমি চিনি মাত্র হাজার হাজার বাংলাদেশ আর