পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లe নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন একাধিক পরস্পর-বিরোধী আর্থিক মত বাজারে বাজারে চলিত। কাজেই যখন- তখন যেখানে-সেখানে যে-সে মতকে দেশ-হিতকর অথবা দেশের অনিষ্টকারক বলিতে গেলে অবিচাব করা হইবে । আজ ভারতে স্বরাজ আর স্বাধীনতা নাই বলিয়া সৰ্ব্বদা দেশশুদ্ধ, লোককে কোনো এক মতের স্বপক্ষে “দেশের নামে” বিন। বাক্যব্যয়ে রায় দিতে উদ্বুদ্ধ কর। স্বদেশ-সেবার লক্ষণ ন হইতেও পারে । তাহাতে "দেশের স্বাৰ্থ” রক্ষিত হইবে কি ন সন্দেহ । কিন্তু বহুসংখ্যক বিভিন্ন শ্রেণীর উপর অত্যাচার ও জুলুম ঘটিতে বাধ্য। দুএকট। দৃষ্টান্ত দিতেছি । সাধারণতঃ আমরা ন ভাবিয়া-চিন্তিয় চাবা আর মজুর এই দুই শ্রেণীর লোককে এক গোত্রের অন্তর্গত বিবেচনা করিতে অভ্যস্ত । কিন্ম এই দুইএর স্বাথ অনেক সময়েই একরূপ নয়। বিদেশী মাল বয়কট সুর হইলে অথবা তাহার উপর চড়া হারে শুল্ক চাপাইলে খরিদার হিসাবে চাষীদের ক্ষতি । কিন্তু সে সকল স্বদেশী ফ্যাক্টরীতে সেই সব মাল ভৈয়ারী হয় বা হইবার সস্তাবনা তাহার মজুরের তাহাতে বিচলিত হইবে কেন ? কাজেই চার্য আর মজরকে অনেক সময়ে দুই বিভিন্ন স্বার্থের লোক অতএব দুই বিভিন্ন পথের পথিক দেখিতে পাওয়! স্বাভাবিক । আবার কলের মালিকেরা যে আইন ব| কৰ্ম্মপ্রণালীকে দেশহিতকর বিবেচনা করেন তাহাকে মজুরেরাও "দেশের পক্ষে” মঙ্গলজনক বিবেচনা করিবে এরূপ কথা বলা চলে না । ভারপর, তথাকথিত মধ্যবিত্তের মতি, গতি, স্বাৰ্থ বা নাতি কিরূপ ? এই শ্রেণীর লোকেরা আজ হয়ত জমিদারের পথকে, কাল হয়ত ফ্যাক্টরিমালিকের পথকে, “দেশের পথ” বিবেচনা করিতে পারে। এমন কি কখনও বা চাষীকে আবার কখনও বা মজুরকে তোয়াজ করা তাহাদের স্বার্থ-মোতাবেক বা যুক্তি-মাফিক দাড়াইয়া যাওয়া অসম্ভব নয় । সুতরাং