পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

go >\లR নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন চিন্তাকেন্দ্রে আর কৰ্ম্মকেন্দ্রে সুবক বাঙল একট। “বুহুত্তর ভারত” কায়েম করিতে পারিয়াছে । বৰ্ত্তমান ভারতের জীবনস্রোত আজ জগতের মজুর, পুজিপতি, শিল্পী, বিজ্ঞানসেবা, সাংবাদিক, রাষ্ট্রবার ইত্যাদি নান। শ্রেণীর নরনারী মহলে গিয় ঠেকিয়াছে । দুনিয়ার অনেক প্রকার আধুনিক অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান-আন্দোলনের সঙ্গে ভারতের স্বাধীন ও সমানভাবে জীবন-বিনিময় সাধিত হইতেছে । প্রবণের যাত। কখনে। কল্পনা করিতে পারিত ন৷ ১৯০৫-৭ সনের নবীনের সেই স্বপ্নাতীত খেয়ালগুলাও কার্য্যে পরিণত করিয়া ছাড়িয়াছে । যুবক বাঙলার এই অসাধ্য-সাধন সম্ভব হইল কি করিয় ? যৌবন-শক্তির যুক্তি-শাস্ত্রই এই অসাধ্য-সাধনের জন্ত দায়ী। ভাঙন আর গড়ন হইতেছে সেই যুক্তিশাস্ত্রের মোট কথা । দুনিয়া সম্বন্ধে যুবার। ভাবিত,— স্বৰ্য্য ভাঙিয়। গড়েছে পৃথিবী, পৃথিবী ভাঙিয়া গড়েছে চাদ, আগ্নেয়গিরি ভাঙিয়ছে ধরা,—নদা ভাঙিয়াছে গিরির বাধ । ধাতুরে গ্রাসিয়া বাচিতেছে গাছ, জীব বাচিতেছে গাছেরে খেয়ে, অতীতে গ্রাসিয়া হ’ল বৰ্ত্তমান, ভবিষ্যৎও বর্তমানেরই মেয়ে । ব্যক্তিমাত্রে বহুত্বময়, নীতিধৰ্ম্ম বদলায় ক্ষণে ক্ষণে ; জীবনের প্রাণ চির-বিপ্লব,—স্থিতি নাহি তাহার পুরাতনে । ভাঙার দাগ ত চারিধারে দেখি, দুনিয়াতে হেরি নিষ্ফল সব, সবই অপূর্ণ বিশ্ব ব্যাপিয়া, শেষ পরিণাম শুধু পরাভব । হিন্দু-গ্ৰীক ছাড় ; ডারুইন কেপ্লার,— তারাই কন্ধে পায়ন হে ! রেডিয়াম এসে বাষ্প-তড়িতে ভিটেমাটি-ছাড়া করিল যে ! পরাজয়ষ্ট বটে উন্নতি, আর হারিল যাহারা তারাই বীর, পরাজিত বার কমেনা যাদের, অমরতা ভাগ্যে সেই জাতির ।