পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন Σ ΨΝΟ দুনিয়ার গায়ে লেখা আছে দুই-বিপ্লব, বিফলত, বাড়াও বিশ্বে শত বৈচিত্র্য,—তাহাই সার্থকতা। যুবক বাঙল পরাজয় আর বিফলতাকে ডরায় নাই। অসাধা-সাধনই তাহার একমাত্র মূলমন্ত্র ছিল। এই অসাধ্য সাধনের চিন্তাবার ও কন্মবারের অতীতের তোয়াক্ক রাখে নাই, অভিজ্ঞতার ধার ধারে নাই, ফেল-মারার ভয়ে জড় সড় হয় নাই। তাহাদের বিচারে বক্তমানই একমাত্র কাল । ভবিষ্যৎকে গোলাম করিয়া রাখিবার জন্য বর্তমানের সঙ্গে ধ্বস্তাধবস্তিই ছিল ৩াহাদের জীবন-দর্শন । আজ ১৯২৭ সন । অসাধ্য-সাধন আর বক্তমান-নিষ্ঠ ধাপের পর ধাপে এক কথঞ্চিৎ উন্নত ঠাইয়ে আসিয়া খাড়া ইহয়াছে। বাঙলার যৌবন-শক্তি এই উচু ঠাইয়ের মাপে বৰ্ত্তমান-নিষ্ঠ হইতে পারিবে কি ? এই ঠাইয়ে দাড়াইয়া যুবক বাঙলা প্রবীণদের দিকে তাকাইয়। বলিতে সাহসী হইবে বি – “দুনিয়ার গায়ে লেখা আছে ছুই,—বিপ্লব, বিফলতা, বাড়াও বিশ্বে শত বৈচিত্র্য, তাহাই সার্থকতা ?” দুনিয়া আজ বাঙলার যৌবনশক্তিকে এই পরীক্ষায় ফেলিয়াছে । ভাঙম-গড়নের ক্ষমত আছে কিনা তাহারই আবার যাচাই হইতেছে। আজ অথশাস্ত্রের পাল। এখানে যাহারা উপস্থিত আছেন তাহাদের অনেকেই কেতাব-পুথির ধার ধারেন না। অনেকে আবার কেতাবের পোকা বিশেষ। কেহ বা কাজের লোক, খুবই ব্যস্ত। র্তাহার। যুক্তি-তর্কের ধান্ধায় সময় খরচ করিতে অনভ্যস্ত। আবার অনেকে হয়ত তাকিক । "কামের কথ। পরে হবে’ বলিয়া তাহারা তর্কের খাতিরে তক চালাইতেই সুপটু ৷