পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন ১৬৫ এই কারখানাগুল। “এঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস’ নামে সাধারণ্যে পরিচিত। মফস্বলের লোকের প্রায়ই এই সবের খবর রাখে না। কেন না ইহাদের প্রায় সবগুলাই কলিকাত ও হাওড়া অঞ্চলে অবস্থিত। বাংলা দেশের মাত্র আট দশট। জেলায় যন্ত্রপাতির কারখানা চলিতেছে। সেই সবের কৰা হইতেছে রেল কোম্পানী অথবা কোনে বিদেশ বেপারা-সঙ্ঘ । বাংলাদেশে কয়লার খাদ আছে ২৩৬টা । বাংলার খনি বলিলে এক কথায় রাণীগঞ্জ খনি বুঝ হইয় থাকে । তবে ২৩৬টার ৪টা বাকুড়ায় 전 3 W আর ৩ট বীরভূমে অবস্থিত। ১৯১৫ সনে ৩১টা খনিতে কাজ বন্ধ করা হইয়াছে । কিন্তু অপরদিকে ১৬টা নতুন খাদ খোলা হইয়াছে । ১৯২৫ সনে গোটা ভারতে ব্ৰহ্মদেশ সমেত) ৮১০ট কয়লার খাদ খোলা ছিল । খাদসম্পদে বাংল। দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী বিহার ও উড়িষ্য। এই প্রদেশে ৪৮৭ট খাদে কয়লার কাজ চলিয়া থাকে । অর্থাৎ বাংলার ৬বলেরও বেশ খাদ বিহার-উড়িষ্যায় চলিতেছে। ২৩৬টা খাদের ভিতর ২০৩টাতে বাষ্পচালিত যন্ত্রপাতির সাহায্যে কাজ চালানে হয়। কিন্তু বিহার প্রদেশে, ৪৮৭টার ভিতর মাত্র ২৪৭টায় অর্থাৎ প্রায় অৰ্দ্ধেকে যন্ত্রপাতির চল আছে। যন্ত্রপাতির রেওয়াজ ভারতের বিভিন্ন কয়লার খাদে এখনে। বেশ বাড়ে নাই । ৮১০টার ভিতর মাত্র ৪৭৪টায় আছে, ৩৩৬টায় এখনো নাই। এই হিসাবে বাংলার খাদগুলাকে উন্নত শ্রেণীর বলিতে হইবে । ১৯২৫ সনে বাংলার খাদে কয়লা উঠিয়াছিল ৪,৯১৩, ৮৫২ টন। বিহারের পরিমাণ ছিল ১৩,৯৩৯,২৪৪ টন, আর গোটা ভারতে ১৯,৯৬৯, ০৪১ টন । অর্থাৎ কয়লার উৎপাদনে বাংলা দেশের হিস্তা ভারতের প্রায় চার আনা ।