পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন Sv% حاشیهها "م -بی. খনির উপরে মেয়ে-পুরুষ উভয়েই খাটে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা করিয়া । পুরুষের বেতন ২০/০ আনা, মেয়েরা পায় ১॥• দেড় টাকা । মজুরি বাংলার চেয়ে বিহারে ভাল। তবে ঐ প্রদেশে সপ্তাহে খাটিতে হয় খনির উপরে ৫৪ ঘণ্টা করিয়া । কিন্তু পুরুষের বেতন সপ্তাহে ৩০ আনা অর্থাৎ ঘণ্ট। প্রতি এক আনার কিছু বেশী। অপরদিকে বাংলায় মজুরের সেই শ্রেণীর কাজের জন্য পায় ঘণ্টায় এক আনার কিছু কম। বিহারে মেয়েরা যেখানে ৫৪ ঘণ্ট খাটে সেখানে বেতন তাদের ২ • আনা, অর্থাৎ ঘণ্টা প্রতি প্রায় আড়াই পয়সা । কিন্তু বাংলায় মেয়েরা সেই শ্রেণীর কাজে ঘণ্ট। প্রতি দুই পয়স মাত্র রোজগার করে। সৰ্ব্বাপেক্ষ আশ্চৰ্য্যজনক তথ্য এই যে,—আন্তভেীম মেয়ের বিহারে যত ঘণ্ট ( ৪৮ ) খাটে বাংলায়ও ঠিক তত ঘণ্টাই খাটে। অথচ বিহারে বেতন ২॥০ আনা, আর বাংলায় ১৮y০ আনা । এই সকল কম-বেশী সম্বন্ধে খোজ লওয়া আবশ্যক। যা সে কথা । কুলী প্রতি কত টন কয়ল। বাংলা দেশে উঠে ? আন্তর্ভৌম কুলীদের ংখ্যা গুণিলে গড় হয় ১৮৭ টন, আর খনির উপর-ভিতর দুই অঞ্চলের সকল কুলী ( মেয়ে সমেত ) গুণিলে গড় হয় ১২০ টন । বিলাতে এই গড়টা ৩৭৭ টন আর ২২৪ টন । এইখানে মনে রাখা আবশুক যে, বিলাতের খনিতে মেয়ে-মজুর কাজ করে না। কাজেই সেখানে কুলীদের কৰ্ম্মক্ষমতা গড়পড়তা বেশী দেখা যাইবার কথা । অধিকন্তু বাংলার খনিতে বিলাতের খনির মতন কলষন্ত্র এখনো বেশী চলে না। বিশেষতঃ শারীরিক মেহনত বঁাচাইবার যন্ত্র কম ব্যবহৃত হয়। কাজেই কুলী প্রতি কাজের পরিমাণ বাংলায় বেশী দেখা যায় না। বাঙালীর তাবে যেকয়টা ব্যাঙ্ক এবং লোন আফিস চলিতেছে