পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৩

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন هنا لا ^^^^^^J,TA ^ * *"AA"_* ^ را به ۳ سه ها حم .۔ ہے -ء শতকরা ১০০\, ১৫০২, ১৩৫২ টাকা । বৎসর বংসর এইরূপ খাড় উঠানাম চায়ের ব্যবসাকে অতিমাত্রায় অনিশ্চয়তাপূর্ণ করিয়া রাখিয়াছে। এই জুয়ার শেষ রক্ষা করিতে হইলে পাক খেলোয়াড় হওয়া আবশ্বক । চায়ের বাগানে ও ব বসায় আজকালকার বাঙালা একটা নয়া সম্পদের খনি চড়িয়া পাইয়াছে। কিন্তু অষ্ঠাষ্ঠ ভারতীয় খনির মতন এই খনিও ভারতসন্তানের হাতে কতদিন থাকিবে তাহ বিশেষ সতকভাবে আলোচন করিয়া দেখা দরকার । যখনই আমাদের দেশে স্বদেশী কোনো কারবারে কোনো প্রকার দুযোগ উপস্থিত হয় তখনই আমর। সোজাসুজি বিদেশী বণিক, শিল্পপতি আর ধনকুবেরদের চোঁদ পুরুষ উদ্ধার করিতে লাগিয়া যাই । আজ ল্যাঙ্কাশিয়ারের দোষ দেখি, কল দেখি জাপানী তার্তাদের, পরশু হনুত মার্কিণ পুজিপতিরাই আমাদের আর্থিক বিফলতার মোট কারণ বলিয়া মালুম হইতে থাকে। আর আজকাল যখন-তখন যেখানে সেখানে গবর্মেন্টের রেল-নীতি আর মুদ্রানীতিকে ভারতীয় দারিদ্র্যের আর বেকার-সমস্তার জন্ত দায়ী সাব্যস্ত কর। ভারতীয় ধনবিজ্ঞান-দক্ষ আর স্বদেশ-সেবক পণ্ডিতগণের রেওয়াজ দাড়াইয়া গিয়াছে । “বিদেশী সয়তান" (চীনা কায়দায় বলা যাইতে পারে, “ফরেণ ডেভিল") গুল| কোনো কোনে ক্ষেত্রে আমাদের আর্থিক ক্ষতির কারণ নয় এরূপ বলা হইতেছে না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আসল কারণ আর জবর কারণ হইতেছে ঘরোজ। আমাদের শিল্পী-বণিক-চাধা-পুজিপতিরা অনেক সময়েই অকৰ্ম্মণ্য, ব্যবসায়ে অনভিজ্ঞ আর দুনিয়ার হালচাল সম্বন্ধে নিরেট আনাড়ি। এক কথায়,—বৰ্ত্তমান জগতের আর্থিক আখড়ায় ভারতসন্তান নেহাৎ চ্যাংড়া । আমরা অতি-কচি শিশু অথচ লড়িতে হয় সৰ্ব্বদা জবরদস্ত পালোয়ানদের সঙ্গে ।