পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Ꮔ8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পৰ্য্যন্ত বাড়িয়াছে । আন্দোলনের জন্য যে টাকাটা পাওয়া গিয়াছে, তাহ অম্লান্ত বৎসর অপেক্ষ বেশী । ১৯২৫ সনে এই সমিতির ফাণ্ডে ৬২.৭১ লক্ষ টাকা—অর্থাৎ পুব বৎসর হইতে ই ৪ লক্ষ টাক। বেশী – আদায় হইয়াছে। পাঁচ বৎসরেও এরূপ হয় নাই। অনাদায়ী টাক। ৫১-৭৮ লক্ষ হইতে ৪৯ ২৬ লক্ষে নামিয় গিয়াছে। অথাৎ আলোচ্য বর্ষশেষে শতকর। ১৮৫ হিসাবে অনাদারা টাক পড়িয়া থাকিবে । এই সকল সমিতির সংখ্য। ২২ হইতে ৩৩ পর্য্যন্ত বাড়িয়াছে । ইহাদের সভা-সংখ্যা ৪,৪৪১ হইতে ৫,৩৩৭ পর্য্যন্ত উঠিয়াছে। কিন্তু ইহাদের যে মূলধন খাটিতেছিল, তাহার মোট টাকা ১.৫৬,১৬৯, হইতে సె 8, 8 ) సె টাকায় নামিয়। গিয়াছে। “সুন্দরবন সরবরাহ ও বিক্রয় সমিতি” ঘে মূলধন খাটাই তেছিল, তাহা কমিয়া যাওয়ায় ঐরাপ হইয়াছে। সুন্দরবন সমিতিগুলি কিন্তু তাহাদের দেনার খানিকট অংশ শোধ দিয়াছে এবং ব্যবসা ভাল চলায় লাভও অধিক করিয়াছে । এ শ্রেণীর সমস্ত সমিতির মোট লাভ ১৭,৭০১, টাকা । পূৰ্ব্ব বৎসর ছিল ৩,৬২০, টাকা । ধান্ত-বিক্রয় সমিতিগুলি যাহাতে তাহাদের মজুত ধান সুবিধাজনক হারে বিক্রয় করিতে পারে, তাহার সাহায্য-কল্পে একটা স্বীম করা হইয়াছে । গবমেণ্ট-কর্তৃক তাই অনুমোদিত হইয়াছে। সেই অনুমোদন অনুসারে বঙ্গীয় কো-অপারেটিভ অর্গানিজেশন সমিতি লিমিটেড কর্তৃক কলিকাতায় একটি কেন্দ্রীয় গুদাম স্থাপিত হইবে । সমিতি গবমেণ্টের নিকট হইতে গুদামের খরচ বাবদ প্রথম তিন বৎসর টাক। পাইবেন । গবমেণ্ট সামান্ত কয়েকটি ধান ও পাট বিক্রয় সমিতির জন্ত গোড়ায় একদল উপযুক্ত তদবিরকারক কৰ্ম্মচারী নিয়োগ করিবেন এবং সমিতিগুলির দ্রব্য মজুত রাখিবার স্থান-নিন্মাণের উদ্দেশ্যে টাকা ধার দিবেন—স্কামে এইরূপ কথা আছে ।