পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন ›ꬃ ዓ - ب - --اے- ت - "تـ - "سی- "س-- আওতায় আন হইয়াছে। ১৮৫৭ সনে ইহার প্রতিষ্ঠা। ১৮৮৭ সনে অন্যান্ত রেলের সঙ্গে ইহার সংযোগ কায়েম করা হয় । বাংলার বুকের উপর অনেক ছোট-বড় নদী-নালা প্রবাহিত। এইগুলি রেল লাইন বিস্তারের পক্ষে খুব অসুবিধাজনক। ঈষ্টাৰ্ণ বেঙ্গল রেলওয়েকে পুল নিৰ্ম্মাণের জন্য অনেক খরচ করিতে হইয়াছে। সারাতে পদ্মার উপরের পুল তাহার নিদর্শন । শিলিগুড়ি পর্য্যন্ত প্রশস্ত রেল বিস্তার করায়ও অনেক খরচ পড়িয়াছে। তবে উত্তর-বঙ্গ ও কলিকাতার মধ্যে দূরত্বের পরিমাণ কমিয়া আসিল । উত্তরে এই রেলওয়েট ভুটান সীমান্তে হিমালয়ের পা পৰ্য্যন্ত গিয়৷ ঠেকিয়াছে। পশ্চিমে বিহার প্রদেশে ঈষ্ট ইণ্ডিয়ান ও বেঙ্গল নর্থওয়েষ্টাৰ্ণ রেলের সঙ্গে ইহার যোগ আছে। পূৰ্ব্বে আসামের কতকটা অংশ ইহার আওতায় আসিয়াছে। দক্ষিণে সুন্দরবনের সীমানা পর্য্যন্ত ইহা বিস্তারলাভ করিয়াছে। একমাত্র বাখরগঞ্জ ছাড়া বাংলার আর সকল জেলাতেই রেল লাইন আছে। বাখরগঞ্জেও রেল বিস্তারের প্রস্তাব চলিতেছে। বহু নদী-নাল-বিধৌত বাখরগঞ্জ জেলায় ইহা কোনো দিন সম্ভব হইবে কিনা তাহাতে যথেষ্ট সন্দেহ বৰ্ত্তমান। সুন্দরবনের মধ্যে আরও রেল বিস্তারের সম্ভাবনা আছে । পাট বাংলার প্রধান ফসল। সুতরাং ইহার চলাচল হইতে রেলওয়ের খুব বেশী আয় হয়। বাংলার প্রত্যেক জেলাতে পাট জন্মে ; কিন্তু সব চাইতে বেশী জন্মে ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর ইত্যাদি জেলাতে। এই সমস্ত জেলায় ধানের, আবাদ কম হয়, কারণ পাট ও ধান একই মরশুমের ফসল। উত্তরবঙ্গের রঙ্গপুর, দিনাজপুর ও বগুড়ায় এবং আসাম প্রদেশের কয়েকটি জেলায় ধানের আবাদ বেশী। এই সমস্ত স্থানের ধান ও চাউল চালানীতে রেলওয়ের বেশী আয় হয়। এতদ্ব্যতীত দ্বি—১২