পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন ᎼᏄ> S S AAAAA AAAA AAAA AAAA T AeeAe eAAA SAAAASAASAASAASAASAASAAAS SAAAAAA AAAAMM SAAAAA AAAA MMAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAAMM MS MSMS AASAASAA আর মাল চলাচলের পরিমাণ ৮ কোটি টন। অর্থাৎ ভারতের লোকসংখ্যা সংক্ষেপে ৩০ কোটি ধরিয়া লইলে প্রত্যেক ভারতবাসী বৎসরে অন্ততঃ দুইবার করিয়া রেলে মোসাফিরি করে। আর ফী মোসাফির গড়পড়তা প্রায় সিকি টন ( সাত মণ) মাল লইয়া চলাফেরা করিতে অভ্যস্ত । ১৯২৫-২৬ সনে রেলের লাভ ১৯২৪-২৫ সনের সমান হয় নাই। তবুও ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা নিট লাভ দাড়াইয়াছে। ইহাতে মূল পুজির উপর শতকরা ৫৩১ টাকা পড়ে। ১৯১৪-১৫ সনে নিট লাভ ছিল ১৩ কোটি ১৬ লাখ টাক। দুই বৎসরের লাভ একত্রে ২২ কোটি ৪২ লাখ । এই লাভটা দুই হিস্তায় বাটিয়া দেওয়া হইয়াছে। ১২ কোটি টাকা জমা হইয়াছে ভারত-গবর্ণমেণ্টের সরকারী খাজনা-বিভাগে । আর রেল "রিজার্ভ” নামক রেলশাসনের মজুত-গচ্ছি ত বিভাগে জমা করিয়া রাখ হইয়াছে ১০ কোটি টাকা। কোনে| বৎসর লোকসান ঘটলে অথব অতিরিক্ত খরচের দরকার পড়িলে এই গচ্ছিত ভাঙিয়া খরচ করা চলিবে আমাদের দেশে চার্যার উন্নতি-অবনতি নির্ভর করে সু-বর্ষা, কু-বর্ষার উপর। বর্ষ ঋতু এক হিসাবে সমগ্র আর্থিক ভারতের মেরুদণ্ড স্বরূপ । গবর্ণমেণ্টের সরকারী খাজনার হ্রাস-বৃদ্ধি সু-বর্ষ। কু-বর্ষার উপর নির্ভর করে । আবার রেল-আয়ের উঠানামাও বর্ষার প্রভাবেই নিয়ঞ্জিত হইয়৷ থাকে। কেনন। চাষ-আবাদে মাল বেশ কি কম উৎপন্ন হইল তাঙ্গার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় রেল-পথে মাল-চলাচল বেশ কি কম হইবে । কাজেই “মনমুন”-ঋতুর মু-কু আলোচনা করা আর বর্ষার ঠিকুজি রাখা গবর্ণমেণ্টের খাজাঞ্চি-বিভাগের মতন ভারতীয় রেল-কোম্পানারও বড় ধান্ধা । তাহার উপর নদনদীতে বন্যার মাত্রা বাড়িলে-কমিলেও রেল বিভাগকে উদ্বিগ্ন থাকিতে হয়। অর্থাৎ সকল প্রকারে চাষ-আবাদের উন্নতি-ঘটা রেল-কোম্পানীর আসল স্বার্থ।