পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮৪

* گویی Уbro নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন - to go" - مج كسلي كي - - দুই তিন বৎসর পূর্ব পর্য্যন্ত কয়লা-চালানের সুবন্দোবস্ত করা রেলকোম্পানীর পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। মালগাড়ী গুনতিতে ছিল কম। তখনকার দিনে যে খাদে কয়লা বেশী উঠিত সেই খাদের জন্য বেশী গাড়ী যোগান হইত। কাজেই বড় বড় খাদের কাছেই মালগাড়ীর ডিপো থাকিত বড়। আর তাহার ফলে কয়লার ক্রেতারাও বড় বড় খাদেরই খরিদার হইবার সুযোগ পাইত। ছোট ছোট খাদের পক্ষে এই ব্যবস্থা ছিল যার পর নাই অনিষ্টকর। ১৯২৪-২৬ সনে মালগাড়ার সংখ্যা বাড়িয়াছে । গাড়ীগুলা ছোট-বড় মাঝারি সকল প্রকার খাদের কয়লাই বহিয়া লইবার জন্ত যেখানে সেখানে উপস্থিত থাকিতে পারে । কাজেই বড় খাদের মালিকের। এখন আর অন্যায় সুযোগ ভোগ করিতে পায় না। বড় খাদের কয়লায় আর ছোট খাদের কয়লায় টক্কর চলিতেছে । খরিদারের। এখন একসঙ্গে সকল খাদের কয়লার দর যাচাই করিয়া কয়লা খরিদ করিতে সমর্থ। ছোট খাদের কয়লা পছন্দ হইলেও কোনে ক্ষতি নাই। কেননা সেখান হইতে মাল বহিয়া আনিবার জন্য গাড়ী পাওয়া যায় । ফলতঃ টক্করের ফলে কয়লার বাজার অনেকটা নামিয়া গিয়াছে। অধিকন্তু উচু শ্রেণীর মাঝারি শ্রেণীর আর নিম্ন শ্রেণীর কয়লা নামে নানাপ্রকার কয়ল। বাজারে দেখা দিয়াছে। আজকালকার বাজারে শ্রেণী হিসাবে কয়লার দরও স্বতন্ত্র । নিম্ন শ্রেণীর কয়লা বাজারে আজকাল বিক্রী করা কঠিন । কয়লা-চালানের নতুন সুযোগ সম্বন্ধে বলা হইয়াছে যে, আজকাল মাল গাড়ীর সংখ্যা বাড়িয়াছে। আসল কথা সংখ্য-বুদ্ধিই মালগাড়ার যোগানে উন্নতি বিধানের একমাত্র কারণ নয়। মালগাড়ীর জোগানে উন্নতি অনেকগুলা বিভিন্ন রকমের ছোট-বড়-মাঝারি উন্নতির উপর নির্ভর করিয়াছে। অর্থাৎ নতুন নতুন মালগাড়ীর সংখ্যা না বাড়িলেও একমাত্র