পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন >b"> ঐ সকল উন্নতি দুই চারিট ঘটলেই মালগাড়ীর জোগানে উন্নতি দেখ দিত। একটা বড় কারণ হইতেছে গাড়ীগুলা সাজাইয় গুছাইয়। রাখিবার সুব্যবস্থা। মালটা পাইবামাত্র তাহা যথাস্তানে পাঠাইয়া দিবার চেষ্ট করা আর এক কারণ। এই অবস্থায় কোনো এক জায়গায় গাড়ীগুলা বেশীক্ষণ নিশ্চলভাবে ফেলিয়। রাখিতে হয় না। অধিকন্তু গাড়ীগুলা যাহাতে এক ক্ষেপ শেষ করিবামাত্র নিজ নিজ আডডায় ফিরিয়া আসিতে পারে তাহার ব্যবস্থা করাও একটা বড় কথা। এই সবই শাসন-সম্পকিত কাজ। নতুন গাড়ী তৈয়ারী না করিয়াও একমাত্র গাড়ী-শাসনের উন্নতি সাধন করিলেই গাড়ী-জোগান উন্নত হইতে পারে। বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রে শাসন বিষয়ক উন্নতি একটা উল্লেখযোগ্য বস্তু। গাড়ী-বিষয়ক শাসনে উন্নতি একমাত্র কৰ্ম্মচারীদের কৰ্ত্তব্য-জ্ঞান বা সময়-নিষ্ঠার উপর নির্ভর করে না। এটাও একটা কটমট টেকনিক্যাল চিজ। রেলপথগুলাকে শক্ত করা দরকার হয়। রেলের বাধ পুল ইত্যাদি অনুষ্ঠানও মজবুত করিয়া রাখা আর একটা উপায়। ষ্টেশনে ষ্টেশনে গাড়ী সাজাইবার গুছাইবার জন্ত সুবিস্তৃত উঠান চাই। এই উঠান বাড়ানোর অর্থ কতকগুলা নতুন নতুন রেল পাতিবার ব্যবস্থা করা। কোনো কোনো রেল লাইনে রাস্তাটার উপর এক সঙ্গে পাশাপাশি দুইটা গাড়ী চালাইবার ব্যবস্থা করা অন্যতম উপায়। ঈষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলের গ্রাও কড লাইনে এইরূপ পাশাপাশি ডবল রাস্ত তৈয়ারী হইয়াছে। মালগাড়ীর গতি বাড়াইয়া দেওয়া একটা বড় কথা। তাহার জন্য আবার নতুন এপ্লিনের ব্যবস্থা করা দরকার। অধিকন্তু মাল গাড়ীর কৰ্ম্মক্ষমতা বাড়াইয়া দেওয়া আবশ্যক। যখন তখন মেরামতের জন্ত গাড়ীগুলাকে যদি কারখানায় পাঠাইতে হয় তাহা হইলে উপযুক্তসংখ্যক গাড়া অনেক