পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F-< ملحية- عاطفة - مكة >brSR নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সময়েই জুটিতে পারে না । গাড়ীর কৰ্ম্মক্ষমতা বাড়াইবার অর্থ বেশী দামের উৎকৃষ্ট সরঞ্জামের গাড়ী তৈয়ারী করা। এক সঙ্গে এত দিকে উন্নতি সাধন করিতে পারিলে গাড়ী-শাসনে উন্নতি আপনা-আপনিই ঘটিয়া থাকে। আর তখন গাড়ী-জোগানের উন্নতিও সহজসাধ্য হইয়া আসে। রেলপথের এই টোনিক্যাল কথাগুল ভারতীয় রেল-তত্ত্বজ্ঞের মগজে বসা আবশ্যক । রেল সংক্রান্ত এঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ, আ, ক, খ, না জানিয়াও আমরা “ভ্যাকুয়াম ব্ৰেক” নামক কল-কৌশলের খবর রাখি । এই “ব্রেক।” কৌশলট যে সকল গাড়ীতে ভাল সেই সকল গাড়ী চলে ভাল । মোসাফিরদের আরামও ঘটে বেশ । সাধারণতঃ মালগাড়ীতে এই “ব্রেকের” ব্যবস্থা থাকে না,—অন্তত: পক্ষে কিছুদিন আগে পর্য্যন্ত থাকিত না । আজকাল মালগাড়াতেও ভ্যাকুয়াম ব্রেক লাগানো হইয়া থাকে । ইহা অবশু পয়সার খেলা। কিন্তু অন্যান্ত ক্ষেত্রের মতন রেল-ঘটিত মন্ত্রপাতির বেলায়ও “যত গুড় তত মিষ্টি ।” অর্থাৎ মালগাড়ীগুলা নিরাপদে দ্রুত চলে । এক কথার শেষ পর্য্যন্ত কম খরচায় ভাল ফল পাওয়া যায় । এক একট। এঞ্জিন লম্ব লম্বা গাড়ী টানিতে গিয়া বড় শীঘ্র হয়রাণ হইয়া পড়ে। অধিকন্তু প্রত্যেক ষ্টেশনেই অনেকক্ষণ দাড়াইয়া তাহাকে হঁাপ ছাড়িয়া বাচিতে হয়। একটা বলদে লাঙ্গল টানার ব্যবস্থা দেখিলেই বিষয়টা কিছু বুঝা যাইতে পারে। কিন্তু যদি একাধিক এঞ্জিন একখানা গাড়ীর জন্য সঙ্ঘবদ্ধ করা যায় তাহা হইলে লম্বা লম্বা গাড়ী বহুদূরবর্তী ষ্টেশন পৰ্য্যন্ত এক নিঃশ্বাসে টানিয়া লইয়া যাওয়া সম্ভব হয় । এঞ্জিনটাকে বড় শীঘ্ৰ চুটি দিবার দরকার পড়ে না। প্রত্যেক এঞ্জিন হইতেই মোটের উপর ঘণ্টা প্রতি বেশী কাজ পাওয়া যায়। কয়লার খরচও লাগে কম । জোড়া বলদ হালে জুতিলে এই ধরণেরই খরচপত্র বঁাচে দেখা যায়। ভারতীয় রেলপথের কোনো কোনোটায় এইরূপ সঙ্ঘবদ্ধ এঞ্জিনের সাহায্যে গাড়ী