পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন >br○ টানানো হইতেছে। তাহাতে গাড়ী-শাসনে আর অন্যান্য রেল-কারবারে কিছু উন্নতি সাধিত হইয়াছে। যে সকল অঞ্চলে ঘনঘন গাড়ী চলাচল আবশ্যক সেই সকল অঞ্চলে কয়লার ঠাইয়ে বিদ্যুৎ কায়েম হইয়াছে। বিদ্যুতের রেল ভবিষ্যতে আরও বাড়িয় ঘাইবার সম্ভাবনা। বড় বড় সহরের আশে-পাশের সঙ্গে রেলসম্বন্ধ বিদ্যুতের সাহায্যেই ঘটিতে থাকিবে । জল-বিদ্যুতের কারখান। যে যে জনপদের বিশেষত্ব সেই সকল জনপদে বিদ্যুতের রেলই চলিবে । পাহাড়ী অঞ্চলে উৎরাইয়ের পথে বিদ্যুতের সাহায্য বেশ কাজে লাগিবে। যে সকল ঠাইয়ে কয়লার অভাব সেই সকল ঠাইয়েও বিদ্যুৎই রেল চালাইবে । আজ কাল বাংলাদেশে বিড়াতের রেল নাই । বোম্বাই অঞ্চলে এই দিকে স্বত্রপাত হইয়াছে। বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ উজ্জল । রেলওয়ে-সংক্রান্ত মেরামতি কাজের পরিমাণ খুব বেশী। গাড়ী বা যন্ত্রপাতি নতুন তৈয়ারী করার কাজ যত, মেরামতির কাজ প্রায় তাহার সমান। কাজেই মেরামতের কারখানাগুলা বিজ্ঞানসম্মতরূপে শাসন করা আবখ্যক । এইদিকে পূৰ্ব্বে কোনো কাজ হয় নাই । সম্প্রতি স্তার ভিনসেন্ট রাভেন সাহেবের একটা তদন্ত-বিবরণ বাহির হইয়াছে। তাহাতে বারখানাগুলার সংস্কার সম্বন্ধে যে সকল প্রস্তাব করা হইয়াছে তদনুসারে কাজের ব্যবস্থা করা হইবে। যন্ত্রপাতি কলকব্জার মেরামত সাধারণতঃ বোন কোন দিকে কত দরকার তাহ প্রথম হইতেই আন্দাজ করিয়া লওয়া সম্ভব। আর সেই আন্দাজমাফিক জিনিষপত্র বেণী বেণী তৈয়ারা করিয়া রাখিলে অল্প খরচে বেশী ফললাভের সন্তাবনা | এতদিন রেলের “ষ্টোস” বা সরঞ্জাম কেনা হইত বিদেশ হইতে । কিন্তু কিছুকাল ধরিয়া এই লাইনে “স্বদেশী” আন্দোলন চলিতেছে। ভারতেই