পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b"W。 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন যাইতেছে যে, মাইল প্রতি দুই লাখ টাকার অনেক-কিছুই শেষ পর্য্যন্ত ভারতীয় নরনারীর অন্ন জোগাইয়া থাকে। অনেক দিক্ হইতেই রেল আমাদের আর্থিক উন্নতির এক বড় খুটা । রেল-চালানে একটা স্বতন্ত্র বিদ্যা । এই বিদ্যায় বিশেষজ্ঞ তৈয়ারী করিয়া লওয়া ভারতীয় রেল-কোম্পানীগুলা আজকাল নিজ কৰ্ত্তব্য বিবেচনা করিতেছে । রেলের জন্য লোক বাহাল করিবার পরই তাহদিগকে ইস্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া দেওয়া হয় এই ধরণের ইস্কুল আগে ছিল না । অধিকন্তু যে সকল লোক অনেক দিন হইতে রেলের কাজে বাহাল আছে তাহাদিগকেও পুনরায় ইস্কুলে আনিয়া তাজ করিয়া তুলিবার ব্যবস্থা হইতেছে । ভবিষ্যতে ব্যবস্থাটা ক্রমেই পাকিয়া উঠিবার সম্ভাবন । ভারতবষে আজকাল সে প্রণালীতে রেলপথ শাসিত হয় তাহার প্রধান কথা তিনটি । প্রথমতঃ, রেলপথের খরচপত্র গবর্ণমেণ্টের সরকারী খাজাঞ্চি বিভাগের অধীন নয়। ১৯২৪ সনে রেল-“কোষ" ভারত-সরকারের রাজস্ব-বিভাগ হইতে আলাদা করিয়া দেওয়া হইয়াছে। রেলপথগুলা “স্বরাজ” ভোগ করিতেছে । দ্বিতীয় কথ। বিভিন্ন রেলপথের পরস্পর-সম্বন্ধ বিষয়ক । রেলশাসনের জন্য কেন্দ্র-কমিটি আছে সন্দেহ নাই । কিন্তু এই কেন্দ্র-কমিটির এতিয়ার যাহাতে কমিয়া যায় তাহার দিকে লক্ষ্য রহিয়াছে। রেলপথগুলা প্রত্যেকেই যথাসম্ভব এক একটা স্বরাজের দিকে অগ্রসর হইতেছে । তৃতীয়তঃ ‘ব্রড গেজ” বা চওড়া-রাস্তার রেলপথগুলার অধিকাংশই গবর্ণমেণ্টের সরকারী তাবে শাসিত হয়। অর্থাৎ বুঝিতে হইবে যে, রেল-শাসনের স্বরাজটা বাস্তবিক পক্ষে গবর্ণমেণ্টের এক বিভাগ হইতে অপর বিভাগের স্বতন্ত্রতা ।