পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brb" নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন این حر احمد یحیت = পাইতেছ, ভাল কাপড় পরিতেছ, তোফ বাড়ীতে বাস করিতেছ আর আমি এই সকল বিষয়ে ঘৃণ্য নগন্ত জঘন্ত জীবন যাপন করিতেছি, সেই অনৈক্য। অর্থাৎ ধনী-নিদ্ধনে, মজুর-মালিকে, চাষী-জমিদারে, কেরাণীমনিবে অনৈক্য । এ সব অনৈক্য ধৰ্ম্মে ধৰ্ম্মে অনৈক্য নয়,—আর্থিক ও সামাজিক অনৈক্য। আর এই সকল নতুন ধরণের অনৈক্য নিবারণের দাওয়াইও আছে হরেক রকমের । সে কথ। সম্প্রতি আলোচনা করিতেছি না । বড় বড় সহর কিছুদিন পূৰ্ব্বে ইয়োরামেরিকায়ও ছিল না। পল্লীজীবন, পল্লী-সভ্যতা, পাড়াগায়ের আদশ ইত্যাদি মাল মান্ধাতার আমল হইতে সেদিন পর্য্যন্ত পাশ্চাত্য সমাজেরও অতি পরিচিত বস্তু । কিন্তু মহানগরী নামক জনপদ বা জীবন-কেন্দ্র উনবিংশ শতাব্দ তে দেখা দিয়াছে। আর তাহার ধারা বিংশ শতাব্দীতে জোরেই বহিতেছে । আমাদের ভারত এই পল্লী-নগর সমস্তায় আগাগোড়া পাশ্চাত্যেরই জুড়িদার । তবে আমরা কাল হিসাবে ইয়োরামেরিকার পেছনে পেছনে চলিতেছি—এই যা প্রভেদ । মাল হিসাবে ভারতে এবং পাশ্চাত্যে কোনো তফাৎ নাই । বত্তমান জগতের বিশেষত্ব দুনিয়-নিষ্ঠ, সংসার-শ্রদ্ধা আর শক্তি-পূজা। নগর জীবনে এই সবই পুঞ্জীকৃত। এই সবের সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ায় নানাপ্রকার সমাজ-সমস্ত দেখা দিয়াছে। লোক সংখ্যার বৃদ্ধি, নরনারীর যৌনসম্বন্ধ, বিবাহ-প্রথা, নগরের চৌহদি ও বহর, নগরের গৃহ নিৰ্ম্মাণ আর গৃহ-সংখ্যা,—এই সকল দফায় অনেক নতুন কিছু ঘটতেছে। সরকারী ও বে-সরকারী লোকহিতের প্রতিষ্ঠান এই যুগের সস্তান । নগর-পরিচালিত শিল্প-কৰ্ম্ম, সেভিংস ব্যাঙ্ক, শিক্ষাকেন্দ্র, "যৌবন-ভবন” আর গ্রন্থশালা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানও অতিমাত্রায় নবীন চিজ । সভ্যতার গতি সহর-মুখে।