পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯ ০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ঘটনাচক্রে রাস সহরেব লোক সংখ্যা ১৯২১ সনে মাত্র ৭৬,৬৪৬। এই অধোগতির কারণ সকলেরই জানা-কথা । কেননা ১৯১৪-১৮ সনের কুরুক্ষেত্রে রাসনগর ধ্বংস প্রাপ্ত হয় আর লোকজন বাস্তুভিটা ছাড়িয়া পলায়ন করে। ফরাসী কাগজ-পত্রে দেখিতেছি এক্ষণে পুনর্গঠন প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে। লোকজন অনেকে ফিরিয়া আসিতেছে। বহুসংখ্যক বিদেশী লোকও বাসিন্দী হইতেছে। লোক সংখ্য। ইতিমধ্যে লাখ পার হইয়। গিয়াছে। কিন্তু ১৯২১ সনের সংখ্য। এখনে পৌছে नाङ् । যাহা ইউক, দেখিতেছি সে, এশিয়ার একটা শহর আর ইয়োরোপের একটা শহর,—দুইই প্রায় একই মাপে বাড়িয় চলিতেছে। পঞ্চাশ বৎসরের ভিতর দুনিয়ার পূৰ্ব্বে ও পশ্চিমে নাগরিক জীবনের গতি মোটের উপর এক-মুখে। অর্থাৎ পশ্চিমকে নগর-নিষ্ঠ বা নগর-প্রধান আর পূবকে পল্লীনিষ্ঠ বা পল্লী-প্রধানরূপে বণনা করা ধনবিজ্ঞানের ধাতে অসম্ভব । লোকবহুল জনপদ অর্থাৎ নগর ইয়োরোপের “সেকালে’ ছিল না। পশ্চিম রক্তও পল্লা-কেন্দ্রেই মস্গুল থাকিতে অভ্যস্ত ছিল । ১৮০৮ সনে রাসনগরে লোক বাস করিত মাত্র হাজার বিশেক ; আজকালকার বিষ্ণুপুর ব| কিশোরগঞ্জ সেই কোঠায় রহিয়াছে। বাঙলায় আজকাল শ দেড়েক মিউনিসিপ্যালিটি চলিতেছে। নিয়ার মাপে এ উল্লেখযোগ্যই নয় বটে। কিন্তু পঞ্চাশ বৎসরের ক্রমবিকাশ হিসাবে এই তথ্য নেহাৎ নিন্দনায়ও নয়। ১৮৭২ সনের বাঙলায় সন্তর্যে লোক ছিল গুনতিতে ১৮,৫৭,৫০৪ জন । ১৯১১ সনের জরীপে দেখা যাইতেছে ৩১,১১,৩০৪—প্রায় পৌনে দুগুনের কাছাকাছি । বিগত পঞ্চাশ বৎসরের ভিতর বাঙালী জাতি যত কারণে নবশক্তির ' , ,