পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন ᎼᏱ☾ জাপানী মালের খরিদার হিসাবে ইয়াঙ্কিস্থান আমাদের ভারতের চারগুণ বড় । জাপানের সঙ্গে বোম্বাইওয়ালার খোলাখুলি আড়ি চাহিয়া থাকেন। কিন্তু সত্যসত্যই আড়ি চালাইলে ভারতবাসীর লোকসান কতটা এই অঙ্কে ধরা পড়িয়া যাইতেছে। জাপানীরা ভারতীয় মাল বয়কট করা মুরু করিলে লোকসান আমাদের নেহাৎ কম নয়। আর আমরা যদি গায়ে পড়িয়া জাপানীদের সঙ্গে সমনি চাগাইয়৷ তুলি তাহা হইলে আমরা নিজ বাজারটা নিজেই খোয়াইয়া বসিব । জাপানে আর বোম্বাইয়ে বাণিজ্য-লড়াইট এক বিচিত্র আকারে দেখা দিতে পারে। জাপানীদের সঙ্গে ভারতবাসীর যে আমদানি-রপ্তানি চলিয়া আসিতেছে তাহার পশ্চাতে আছে একটা "কনভেনশুন” বাণিজ্যসমঝোতা। ১৯০৫ সনে এই বিষয় লইয়া জাপানে আর বৃটিশ গভর্ণমেণ্টে সন্ধি-জাতীয় বন্দোবস্ত কায়েম হয়। বোম্বাইওয়ালার এইটা রদ করাইবার আন্দোলন চালাইতে পশ্চাৎপদ নয় । তাহার পাণ্ট জবাব দিয়া জাপানী ব্যবসায়ারা বলিতেছে,—"বহুৎ আচ্ছ। আমরা ভারতীয় লোহার বিরুদ্ধে আন্দোলন রুজু করিতেছি।” জাপানে ভারতীয় লোহার উপর কড়া শুল্ক বসিলে ভারতীয় লোহাওয়ালাদের ক্ষতি বিস্তর । কাজেই লড়াইট চলিতেছে,—কাপড় বনাম লোহা । অতএব স্বদেশী আন্দোলনের ব্যাখ্যায় ভাঙন-গড়ন অবশ্যম্ভাবী। সংরক্ষণ-নীতি চালাইলেই যে দেশের উপকার হয় তাহ বিন বাক্যব্যয়ে স্বীকার করিয়া লওয়া চলে না। আমাদের চোখের সন্মুখে দুইটা বড় দৃষ্টান্ত রহিয়াছে। টাটার লোহা আর ইস্পাত কারখানার বর্তমান অবস্থা দেখিলেই ইস্পাত ও সংরক্ষণ-শুল্ক