পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Wと নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন জন বিশেষজ্ঞ তাহার ভার লইবেন । ফরাসী, জাৰ্ম্মান, জাপানী, আরবী, ফাসি, তুর্ক, রুশ, ইতালিয়ান, স্পেনিশ ইত্যাদি ভাষায় অভিজ্ঞতা না থাকিলে কাহাকেও সম্পাদক-সজেঘ ঠাই দেওয়া হইবে না। তাহা ছাড়া সাহিত্য, সঙ্গীত, স্থাপত্য, চিত্রশিল্প, বাস্তুবিদ্যা, রসায়ন, এঞ্জিনিয়ারিং, নৃতত্ত্ব, রাষ্ট্রনীতি, ধনবিজ্ঞান, চিত্রবিজ্ঞান ইত্যাদি বিদ্যায় সুদক্ষ লোক বাছিয়া সম্পাদক-সঙ্ঘে বসাইতে হইবে । সম্পাদক-সক্তেঘর মাথায় কোনো লোক রাখিবার দরকার নাই । তবে একজনকে কৰ্ম্মকত্তা-সম্পাদক । ম্যানেজিং এডিটার ) রূপে বাহাল করা আবশ্যক হইবে । পত্রিকাটি বাহির করিবার জন্য বেশী সময় নষ্ট করিবার প্রয়োজন নাই । কুচারমাসের ভিতরই কাজ সুরু করা যাইতে পারে । পত্রিকার সঙ্গে সঙ্গেই সমিতির অন্তান্ত কাজে ক্রমশঃ হাত দেওয়া সম্ভবপর হইবে । আগামী বর্যের যুবক-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবার পূৰ্ব্বে যুবক বাংলার কয়েকজন কম্মদক্ষ ও সুবিবেচক তরুণ-তরুণী যদি পত্রিকাটা কয়েকমাস ধরিয়া চালাইতে পারেন তাহা হইলে আমাদের যৌবন-পূজা অনেক দূর আগাইয়া যাইতে পারিবে । জীবনটা যতই বিচিত্র তথ্যে ঐশ্বৰ্য্যপূর্ণ হইতে থাকিবে ততই বাঙালীর মাথা পরিষ্কার হইয়া চলিবে ; ১৯০৫–১৫—২৫ সনের বীরত্বকে লইয়া আমরা আর মাতামাতি করিতে থাকিব না। আগামী-ভবিষ্যতের জন্য বৃহত্তর বীরত্বের ব্যবস্থা করিতে সমর্থ হইবে। প্রতি পদবিক্ষেপে এক একটা বৃহত্তর বীরত্বের স্বপ্ন দেখা আর কন্ম করা হইতেছে যৌবন-পূজার আসল সরঞ্জাম। কালকার বীরগুলাকে আজ ছাড়াইয়া যাইতে যদি পারি আর তাহার জন্য যদি সত্যসত্যই উপযুক্ত হই তাহা হইলেই আমাদের যৌবন-আন্দোলন সার্থক হইবে । আসল কথা তাহাদের সুরু-করা