পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నbr নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন লোকের স্থায়ী অন্নসংস্থানও রেলপথের এক মস্ত কথা । আজকালকার ৩৮,৫৭৯ মাইলে ৭,৫০,০০০ লোকের ভাতকাপড় জুটিতেছে। এই সাড়ে সাত লাখের ভিতর মোটা মাহিয়ানাওয়ালা বিদেশী বা দো-আঁাস্লাদিগকে বাদ দিলে সকলেই খাটি ভারত সন্তান । কাজেই ১৯৩১ সনের ভিতর যদি ৬,০০০ মাইল নতুন পথ খোলা হইয়া যায় তাহা হইলে আরও অনেক কুলী-কেরাণীএঞ্জিনিয়ারের অন্ন- সংস্থান ঘটিতে পারিবে । একথা সহজেই বিশ্বাস করা চলে । এইখানে আর একটা কথা মনে রাখা দরকার । দেখা গিয়াছে যে, ফী মাইল রেলপথের জন্ত গড়ে প্রায় দুই লাখ টাকা পড়ে। এই দুই লাখ টাকা খরচ হয় কিসে? একটা বড় তিস্তা যায় লোহা-লক্কড়, যন্ত্র-পাতি ইত্যাদি মালে । তাহার অধিকাংশই বিদেশ হইতে আসে। কাজেই এই খরচের অধিকাংশ বিদেশার ভোগে যায়। তাহা ছাড়া আর সবই খরচ হয় লোকের মেহনতের মজুরি বাবদ । মাথার মেহনতের উচু দিকটা অধিকাংশ বিদেশীদের কপালে লেখা। অবশিষ্ট ভারতসন্তানের। হাতপায়ের মজুরি সবই অবশু ভারতবাসীর একচেটিয়া । অতএব মাইল প্রতি দুই লাখ টাকার অনেক-কিছুই শেষ পর্য্যন্ত ভারতীয় নরনারীর অন্ন জোগাইয় থাকে । নানা দিক হইতেই রেল আমাদের আর্থিক উন্নতির এক বড় খুটা। ম্যালেরিয়ার অন্যতম সহায়ক হিসাবে রেল পথগুলা নিন্দনীয় বটে। ইতালিতেও রেলপথের জন্য নরনারী আর জীবজন্তুকে ম্যালেরিয়ায় ভূগিতে হইয়াছে। কিন্তু ক্রমশঃ ইতালির রেল-এঞ্জিনিয়ারের পুরাণো দোষ শুধরাইয়া লইয়াছে। ভারতেও এঞ্জিনিয়ারিংয়ের তরফ হইতে রেলনীতির সংস্কার সাধিত হইতে পারে।