পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ० ० নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন মজুতই বা হয় কেন ? দেশের গবর্ণমেণ্ট অথবা নোট-ব্যাঙ্ক যদি অনেক পরিমাণ সোনার মালিক হইয় পড়ে, আর সোনা পাইবা মাত্র তাহার সমান দামের নোট ছাড়িতে সুরু করে তাহ হইলে ব্যাঙ্কগুলাও টাকার সমুদ্রে সাতার কাটিতে থাকিবে । অতএব প্রধান সমস্ত হইতেছে ব্যাঙ্কগুলাকে টাকার সমুদ্রে সাতার কাটিতে না দেওয়া। অর্থাৎ বেপারাদিগকে কৰ্জ দিবার ক্ষমতা ব্যাঙ্কগুলার হাতে কম থাকিলেই অথবা উচিত পরিমাণের মাত্র ছাড়াইয়া না গেলেই আপদঃ শান্তিঃ । তাহা হইলে কর্জ-নীতিকে শাসন ও সংযত করা দাড়াইতেছে বৰ্ত্তমান দুনিয়ায় আসল রাষ্ট্র-নীতি ও অর্থ-শাস্ত্র । এক গ্রন্থে অরুইন ও পীল নামক দুইজন ইংরেজ লেখক বলিতেছেন,— মান্ধাতার আমলের জমিদারি-প্রথা বিলাতে এখনো চলিতেছে । তাহ উঠাইয়া দেওয়া দরকার । প্রজ, রাইয়ত ইত্যাদি নামের লোক ইংরেজ সমাজে আর থাকিবে না । প্রত্যেক চাষাই নিজ নিজ জমির মালিক হইবে । আর এই ব্যবস্তায় “স্বত্ত্বের যাদুতে বালু হইবে সোনায় পরিণত” । লেখকদের একজনও বোলশেহ্যিক-পন্থী নন । কৃষিবিজ্ঞানে সুদক্ষ বলিয়া তাহাদের খ্যাতি আছে । ১৯২৩ সনে “লিবার্যাল” দলের রাষ্ট্রনায়কের একটা কমিটি কায়েম করিয়াছিলেন । ইংল্যাণ্ডের ভূমি-সমস্ত আলোচনা করিয়া কমিটি মন্তব্য প্রচার করিয়াছে । কমিটির মতে চাষ-আবাদের প্রায় সকল বিভাগেই ইংরেজ সমাজে অসম্পূর্ণত রহিয়াছে। জমিদারি প্রথা উঠাইয়া না দিলে বিলাতে কৃষিসংস্কার অসন্তব। গবমেণ্টের হাতে সকল আবাদী জমির দখল আসুক । যে সকল চাষীরা জমি চাষ করিতে প্রস্তুত এবং সমর্থ, বাছিয়া বাছিয়। নয়। বিলাতে জমিদারি