পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S o S নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বিভিন্ন গড়নের জন্য কিরূপ রাষ্ট্রীয় আইনকানুন কায়েম করা উচিত, তাহার আলোচনায় ইয়োরামেরিকার পণ্ডিতেরা সময় দিয়া থাকেন। ভারতে এই সম্বন্ধে চর্চা করিবার সময় এখনো আসিয়াছে কিনা সন্দেহ তবে নবীনতন ধনবিজ্ঞানের কাঠামটা মাঝে মাঝে আলোচনা করিয়া দেখা মন্দ নয় । সম্প্রতি মাত্র এইটুকু বলিয়। রাখিতেছি যে, পুজি বা মূলধনের দুনিয়ায় আজকাল প্রধানতঃ তিন গড়ন দেখা যায়। একটাকে মামুলি “বিরাট কারবার” বলা চলে। দ্বিতীয় গড়নের নাম “ট্রাষ্ট”। আর শেয়ার বাজারের বগু, সিকিউরিটি ইত্যাদি ধনদৌলত বিষয়ক কাগজপত্রের সঙ্ঘ হইতেছে তৃতীয় প্রকার গড়ন । তিন প্রকার গড়নের অস্থিমজ্জা আর মাংস পেশা অনেকটা এক ধাচে গড়িয়| উঠিতেছে। এই সকল বিষয় লইয়৷ ২০০ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ একখানা জাৰ্ম্মাণ গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে ( লাইপৎসিগ ১৯২৪ )। বইটা গ্রগুলেণ্ডঙ ডেস্ রেখ টুস ডার উণ্টার্ণেমেন্স-ৎসুসামেনফস্বঙেন” (কারবার-সঙ্ঘ বিষয়ক আইন-কামুনের ভিত্তি )। গ্রন্থকার হাউসমান । পুজি-সঙ্ঘ-বিষয়ক আইন-কানুন বর্তমান জগতে এত জরুরি কেন তাহা ভারতের নরনারীর পক্ষে সহজে বুঝিয়া উঠা সম্ভবপর নয়। কিন্তু দুইএকটা বিলাতী ও মাকণ জীবনের দৃষ্টান্তে ইহা বেশ মালুম হইবে। দুইখানা গ্রন্থ এই উপলক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য । “আমেরিকান টোবাকো কোং” নামক মার্কিণ কারবার আর “ইম্পরিয়্যাল টোবাকো কোং’ নামক বিলাতী কারবার দুইটা জগতে প্রসিদ্ধ। এই তুই কোম্পানীর যথেচ্ছাচার অসহ্য হইয়া উঠিয়াছিল। লোকেরা তিতিবিরক্ত হইয়া মার্কিণ গবমেন্টের নিকট নালিশ রুজু করে, “ফেডার্যাল ট্রেড কমিশুন” নামক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী বাণিজ্য-বিচারালয় মোকদ্দমা বিচার করিয়া দেখিতে বাধ্য হইয়াছে। বিচারটা ১৯২ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ।