পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミo 8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আমলের কৃষিকৰ্ম্ম বল চলে। এই কৃষিকে “প্রাকৃত" বলিলে পুজিনিয়ন্ত্রিত কৃষিকে “সংস্কৃত” বলিতে পারি। সাধারণতঃ পণ্ডিতগণের বিশ্বাস যে, এই দুই ধরণের চাষ-আবাদে দুই বিভিন্ন ধন-স্বত্র খাটে, “প্রাকৃত” কৃষিতে মজুরির নিয়ম, দামের নিয়ম, খরচপত্রের নিয়ম যেরূপ তাহা এ কালের নিয়ম দেখিয়া বুঝা যায় না । এই মতের বিরুদ্ধে রায় দিয়া স্তুদেনস্কি বলিতেছেন যে,—সকল প্রকার চাষব্যবস্থায়ই এক বিনিময়-নীতি, এক মুদ্রা-নীতি, এক মূলা-নীতির প্রয়োগ হইয়া থাকে । সৰ্ব্বত্রই পু জি-নীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রতিযোগিতা, টক্কর, বাজারের দর-কষাকষি তথাকথিত “সেকেলে,” আদিম বা “অ-সভ্য” কৃষি-দুনিয়ায়ও পাকড়াও করা সম্ভব । স্তুদেনস্কির বস্তুনিষ্ঠ, অঙ্ক-নিষ্ঠ গবেষণায় কতকগুলা নতুন তথ্য বাহির হইয়া পড়িয়াছে। যুদ্ধের পূৰ্ব্বেকার রমিয়ায় চার্যারা উৎপন্ন ফসলের কিয়দংশ বাজারে বেচিত । নিজ পরিবারের ভরণপোষণই তাহাদের কৃষিকৰ্ম্মের একমাত্র লক্ষ্য থাকিত না । কট্টর “স্বদেশী আদশের" প্রচারকেরা বলিয়া থাকেন যে, “অ-সভা” চাষীরা পারিবারিক ভোগের জন্য যেটুকু দরকার তাহার বেশী ফসল উৎপাদন করে না। স্তুদেনস্কি বলিতেছেন,—তাহা হইলে প্রত্যেক পল্লীর প্রত্যেক চাষীরই মাসিক ব৷ বাৰ্ষিক আয় ফসলের মাপে সমান হওয়া উচিত। কেননা খাওয়া-পরার জন্য প্রত্যেক পরিবারেরই সমান দরকার । আয়ের সমতা “প্রাকৃত” চাষী সমাজের একটা বিশেষত্ব বিবেচিত হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে, “সেকেলে’ কৃষি-ব্যবস্থায় আয়-সাম্য দেখা যায় কি ? যায় না। বরং উণ্টাই দেখা গিয়াছে। কোনো ব্যক্তির আয় হয় ত মাত্র ২১ রুবল। আবার কেনে ব্যক্তির আয় ১০০ রুবল । পল্লী-গ্রামের আনাড়ি চাষীরা বাজার বুঝে না,—তাহারা খুব সাদাসিধা