পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থশাস্ত্রে ভাঙন-গড়ন २ ०१ বাড়িতেছে মানুষের ধনসঞ্চয়, মানুষের পুজিনিষ্ঠা, মানুষের পুজিসংগ্ৰহ সেই পরিমাণে বাড়িতেছে না। কাজেই যথোচিত সংখ্যক নরনারীকে মজুর, কেরাণী, এঞ্জিনিয়ার ও রাসায়নিক হিসাবে বাহাল করা সম্ভবপর হইতেছে না। পুজির পরিমাণ বাড়ক। তাহা হইলে কল্যন্ত্রগুলাকে ধনোৎপাদনের কাজে গোলামের মত খাটাইয়া মধ্যবিত্তের আর মজুরচাষীর বেকার সমস্তা মীমাংসা করা সম্ভবপর হইবে।” বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান-পরিষৎ অর্থশাস্ত্র সম্বন্ধে আমার স্বীকার্যাগুলা অথবা নবীন ধনবিজ্ঞানের সিদ্ধান্তসমূহ কাহাকেও বিনা বিচারে হজম করিতে উপদেশ দেওয়া আমার স্বধৰ্ম্ম নয়। আর্থিক জীবনে ভাঙন-গড়নের যুক্তি-শাস্ত্র বা কৰ্ম্ম-প্রণালীট দেখাইলাম মাত্র । এই সকল বিষয় লইয়া উচ্চশিক্ষিত বাঙালী মহলে তর্ক-প্রশ্ন গবেষণাসমালোচনা অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। দুঃখের বিষয় এইদিকে বাঙালী পণ্ডিতগণের শৈথিলা খুব জবর । ধন-বিজ্ঞান আর আর্থিক-জীবন সম্বন্ধে যুবক-বাঙলার কন্মক্ষেত্র পড়িয়া রহিয়াছে বিশাল । বাঙলার প্রত্যেক জেলায়ই দুচার দশজন করিয়া উচ্চশিক্ষিত গবেষক আবশ্যক। দেশ-বিদেশ আর্থিক তথ্যে দক্ষতা লাভ করিবার জন্য আমরা বাঙলায় আজ পর্য্যন্ত বিশেষ কোনো চেষ্টা করি নাই। কিন্তু এখন বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে ধনবিজ্ঞানের গবেষণা সুরু করিবার জন্ত দেশব্যাপী একটা আন্দোলন চালাইতে চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য। এইখানে একটা মাকিন নজির আনিব । যুক্তরাষ্ট্রে ধনবিজ্ঞান-সম্পকিত অনুসন্ধানসমিতি গুৰুতিতে অনেক। “সোশাল সায়েন্স রাসার্চ কাউন্সিল” নামক সমাজ-শাস্ত্রের গবেষণা-পরিষৎ