পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে দেশ-ও-জুনিয়া চর্চা ミ>○ সুদডিস্কাউণ্ট ইত্যাদির মামলা। সেকেলে শুভঙ্কর আর একেলে গণিতকার উভয়েই ধনবিজ্ঞানের কারবার করেন। কিন্তু ধনবিজ্ঞান বিদ্যাটার ভিতরও যে অঙ্কশাস্ত্রের ঘর অতি বড়, সে কথা সাধারণের মনেই আসে না । মনে আসে না বলিয়াই অঙ্কে যাহার কাচ। তাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধনবিজ্ঞান-ক্লাশে নাম লিখাইয়া থাকেন। কথাটা ঠিক কিনা ? সেকালে ছিল এদেশে “এ’ কোসের বি-এ পরীক্ষা। প্রাথমিক ধনবিজ্ঞান এই লাইনের অন্যতম পাঠ ছিল। এই লাইনে থাকিয়া অঙ্কশাস্ত্রকে পুরাপুরি “বয়কট’’ কর। চলিত। আর আজকালকার বি-এ-তে বোধ হয় প্রথম হইতেই তাঙ্কের সঙ্গে “অসহযোগ” । কাজেই যত রাজ্যের যে-যে ছাত্র অঙ্কে র্কাচ সকলে আসিয়া জুটে অধম-তারণ ধনবিজ্ঞানে । আর এই “কোঠে” নিরাপদ থাকিয় তাহারা সকলেই অঙ্ককে দেখায় "কলা" । ফল অতি স্বাভাবিক। নীলমলাটওয়ালা সরকারী “রিপোর্ট” কেতাবগুলে। যখন আমরা দৈবক্রমে ঘাটিতে সুরু করি তখন অঙ্ক সমূহ বাদ দিয়া পড়িতে লাগিয়া যাই একমাত্র “বক্ততা” গুলা। খবরের কাগজের বাণিজ্য-পৃষ্ঠাটার “বাজার দর” ব্যাঙ্কের অঙ্ক ইত্যাদি পাঠ করেন এমন ধনবিজ্ঞান-সেবী বাঙালী কয়জন আছেন জানি না। কাজেই শেষ পর্য্যস্ত ধনবিজ্ঞানের "রিসাচ্চে” মোতায়েন হইবার পর আমর আলোচনা করি প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে প্রভেদ আর "ভারতীয়’ ধনবিজ্ঞানের বাণী ! অঙ্কে মাথা খেলিলে আমাদের ধরণ-ধারণ আলাদা इङ्ल्नु ।