পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ > R নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন S C e S ee S AAA S JSASASAeeS eeSeeeS AeeSee AAAASAAASSS SAAA =ي. خـه AF్న F్వ " గ్" గా * کتبے .ཐག། سات سمی_ ـ – – – مييج جيد বাংলা ভাষায় বিদ্যা চর্চা আর এক আপদ ভাষা। বিদেশী ভাষায় কোনো বিদ্যাই মগজে বসিতে পারে না । ধনবিজ্ঞানও ইংরেজির দেীবাত্মোই বাঙালীর এবং অন্যান্য ভারতবাসীর মাথ। দখল করিতে পারে নাই । বাঙালীরা অনেক সময়ে নিজেদেরকে ইংরেজিতে খুব পাক বলিয়া বিশ্বাস করেন । এই বিশ্বাস বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত ধারণা নয় । ইংরেজী খবরের কাগজের সংবাদ আর টীকাটিপ্পনীগুলা আমাদের অনেকেই অতি সহজে,—জলের মতন—বঝিয়া যাইতে পারেন । ইহা অস্বীকার করি না। কিন্তু যেই খানিকটা “চিন্তাওয়ালা” ইংরেজী কেতাব অথবা প্রবন্ধ চোখের সম্মুখে উপস্তিত হয়, তখনই দেখা যায় যে, সেটা বড় শীঘ্র বেশীসংখ্যক বাঙালীর রোচে না। “পরীক্ষসিদ্ধ চিত্তবিজ্ঞানের” (এক্স পেরিমেণ্টাল সাইকলজির ৷ তরফ হইতে ইংরেজা-জানা বাঙালীর তথ্য-তালিকা সংগ্ৰহ করিয়৷ এই বিষয়ে সত্যাসত্য নিদ্ধারণ করা সম্ভব । বি-এ, এম-এ ক্লাসে ধনবিজ্ঞানের ইংরেজী বই পড়িতে বাঙালী যুবাকে গলদঘৰ্ম্ম হইতে হয় । এ-কথা কাহারও অজানা নাই। পাচশ বা হাজার পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ কোনে। ইংরেজী বই পড়িয়া শেষ করা একটা অদ্ভূত কৃতিত্ববিশেষ সমঝ হইয়া থাকে। দায়ে পড়িয়া অধ্যাপকের তৈয়ারীকরা চুম্বক মুখস্থ করা ছাড়া আর কোনে উপায় দেখা যায় না। কিন্তু যদি বাংলায় বই থাকিত তাহ। তইলে বৎসরে হাজার পৃষ্ঠার জায়গায় পাচ হাজার পৃষ্ঠা হজম করাও অতি সহজ বিবেচিত হইত। ছাত্রজীবন-সম্বন্ধে যে কথা বলা হইতেছে সে কথা অধ্যাপক এবং গবেষক মহাশয়দের সম্বন্ধেও খাটে । কয়জন বাঙালী ধনবিজ্ঞানসেবী বৎসরে কত হাজার পৃষ্ঠাব্যাপী নতুন বিদেশী বই বা পত্রিক পাঠ করিয়া থাকেন ?