পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে দেশ-ও-জুনিয়া চর্চা ა ა® এই প্রশ্নের জবাব দিতে বসিলে গোমর ফাক হইয়া পড়িবে। সুললিত বঙ্গভাষায় রচনা বাজারে পাওয়া গেলে কি ছাত্র, কি মাষ্টার, কি গবেষক, কি স্বদেশসেবক সকলেই প্রতিবৎসর হাজার-হাজার পৃষ্ঠা গলাধঃকরণ করিতে সহজেই “সাহসী” হইবেন । অবশু একমাত্র মাতৃভাষার কল্যাণেই অসাধ্য সাধন সম্ভব নয় । আর্থিক অভিজ্ঞতার মিলন-কেন্দ্র বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের অভাব বাঙালীর ধনবিজ্ঞান সেবাকে দুৰ্ব্বল করিয়া রাখিয়াছে। শৈশবেই গণিতের সঙ্গে আড়ি করিবার ফলে আমরা ধন-বিজ্ঞানের অঙ্কগুলাকে “র্কাকড়া বিছা”র মতনই ভয় করিতে শিখিয়াছি । তাহার উপর বিদেশী ভাষাও ধন-বিজ্ঞানকে জীবনের তথ্যরাশি হইতে সম্পর্কহীন করিয়া ছাড়িয়াছে। সকল দিল্প হইতেই আমাদের ধন-বিজ্ঞান-চচ্চ বাস্তব হইতে বিচ্যুত হইয়া পড়িয়াছে। অতএব দাওয়াহ অতি সহজ । একটা আখড়া কায়েম করা দরকার। সেখানে ব্যাঙ্কার, শিল্পনায়ক, বীমার দালাল, কৃষি-দক্ষ, বণিৰ ইত্যাদি ধনস্রষ্টার সঙ্গে সরকারী চার্যের এক সঙ্গে আডড মারিবেন। আর এই দুই দলের বাঙালীর জীবন-কথা দুহিবার জন্ত দেশের অন্তান্ত লোক সেই মিলন কেন্দ্রেই হাজির থাকিবেন । চাই বিভিন্ন আর্থিক অভিজ্ঞতাওয়ালা নরনারীর পরস্পর যোগাযোগ আর মেলমেশ । বাবিতণ্ডা, ঝগড়াঝাটি, বক্তৃতা-ব্যাখ্যান, তর্কপ্রশ্ন, হাতাহাতি, মারামারি যা কিছু ইয়ারের দলে সস্তব সবই জননী-বঙ্গভাষায় অনুষ্ঠিত হইবে। ধনশ্ৰষ্ট আর চার্যেরা অঙ্ক লইয়া মাথা ঘামাইতে পটু। কাজেই এই বারোয়ারিতলার আবহাওয়ায় তথ্য ও অঙ্কের তালিকা বা "ষ্ট্যাটিষ্টিৰূস” থাকিবে প্রচুর। এই সকল গণিতসমন্বিত, মাপজোক-নিয়ন্ত্রিত, বাস্তব আর্থিক অভিজ্ঞতার উপর চালাও যে