পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨ ૨ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পরিচালক-সমিতিতে বসাইতে হইবে । তাহার উপর বিদেশ-বিষয়ক দুইটা মোটা ঘর রাখা হইবে । এক ঘরের জন্ত ধনিক-সমাজের ক্রমবিকাশ-সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ অবশ্যক । আর-এক ঘরের জন্ত শ্রমিক ও বিষাণ সমাজের ক্রমবিকাশ-সম্বন্ধে অপর এক বিশেষজ্ঞ দরকার হইবে । জাপানসম্বন্ধে চাই মুসলমান বিশেষজ্ঞ আর তুকী-সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ হইতে হইবে হিন্দুকে । এই পচিশ বিভাগের পরিবত্তে তন্ত কোনো শ্রেণীবিভাগও চলিতে পারে বল। বাহুল্য । বস্তুতঃ বত্তমান ক্ষেত্রে তক-বিজ্ঞানের তরফ ইহতে একটা নিখুত শ্রেণীবিভাগ কায়েম কর। সম্ভব নয়। যাহাতে কালে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞের স্বষ্টি হইতে পারে সেই দিকে নজর দিয়া আলোচ্য বিষয়ের বৈচিত্র্য প্রদশিত হইল মাত্র । (ঘ) পরিচালকের পরিষৎ-সংক্রান্ত সকলপ্রকার কাজের ভার লইবেন । বস্তৃতাদির ব্যবস্ত কর, দেশ-বিদেশের সঙ্গে নিয়মিত পত্রব্যবহার চালানে!, গ্রন্থপত্রিকাদির প্রকাশ ইত্যাদি সবই এই সমিতির অধানে নিয়ন্ত্রিত হইবে । (ঙ) পরিচালক-সমিতির অধ্যক্ষ হইবেন বেতন-প্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী। ধন-বিজ্ঞান বিদ্যায় ব্যুৎপন্ন এবং ফরাসা ও জাম্মান ভাষায় অভিজ্ঞতাবিশিষ্ট ব্যক্তিকে অধ্যক্ষের পদ দিতে হইবে । পরিষদের শাসন-বিষয়ক সকল ধান্ধাই এহ কৰ্ম্মচারীর ঘাড়ে পড়িবে। অধ্যক্ষ গবেষকদিগের অনুসন্ধানকার্য্যের পর্য্যবেক্ষক থাকিবেন । “ধনবিজ্ঞান”-পত্রিকার সম্পাদন-ভার তাহার হাতেই থাকিবে । অধিকন্তু গ্রন্থশালার তত্ত্বাবধান করা এবং গ্রন্থ-প্রকাশের তদবির করা তাহার এলাকার অন্তর্গত ।