পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミーや নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন তেছেন, অনেকে বীমা-সমিতির এজেণ্ট, অনেকে যন্ত্রপাতির কারবারে নিযুক্ত। এঞ্জিনিয়ার, রাসায়নিক, মজুর-সেবক, কিষাণ সেবক, সরকারী চাকুর্যে, সংবাদপত্রের সম্পাদক ইত্যাদি নানা শ্রেণীর লোক আমাদিগকে নানা উপায়ে উৎসাহিত করিতেছেন । র্তাহাদের সকলকেই ধন্তবাদ দিতেছি । ভবিষ্যতেও তাহাদের আর তাহাদের বন্ধুবর্গের আমুকুল্য প্রাণ না করি । এই নুতন পথে মেহনতের মাপে সার্থকতা লাভ কর। সম্ভবপর হয় নাই। "হাতা ঘোড়া” কিছু করিবার মতলব কোনো দিনই ছিল না । কিন্তু মতলবট যাহাই থাকুক না কেন,—কার্যাক্ষেত্রে প্রবেশ করিবামাত্র অসম্পূর্ণত পদে পদে দেখা দিয়াছে । বীমা, ব্যাঙ্ক, বাণিজ্য ইত্যাদি আর্থিক জীবনের নানা বিভাগ সম্বন্ধে বাংলা ভাষায় বইও নাই, পত্রিকাও নাই । সাধারণ মাসিক বা সাপ্তাহিক পত্রিকায় এই সকল বিষয়ে যে সব আলোচন। বাহির হয়, তাহ পরিমাণ হিসাবে বা মালের উৎকর্ষ হিসাবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য নয় । কাজেই “আর্থিক উন্নতি’র সম্পাদনে দেশের ভিতরকার অদ্যান্ত পত্রিকা হইতে উল্লেখযোগ্য আত্মিক সাহায্য পাওয়া যায় না। বাংলার বিভিন্ন কাগজ হইতে, বিশেষতঃ মফঃস্বলের পত্রিক। হইতে তথ্য ও তত্ত্ব সংগ্ৰহ করিবার দিকে ঝোক আমাদের প্রবল। কিন্তু তাহা সত্ত্বেও প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তার্থনৈতিক বিশ্লেষণ ইত্যাদির জন্ত একমাত্র নিজ পরিশ্রমের উপর নির্ভর করিতে হয় । ইহার ফল অতি স্বাভাবিক । প্রায় কোনো বিষয়ই খুটিয়া খুটিয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া আলোচনা কর ঘটয় উঠে না। আমাদের এই অসম্পূর্ণত শুধরাইবার একমাত্র উপায় হইতেছে দেশের ভিতর ধনবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগ বিষয়ক পাচ সাতটা স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র কাগজের প্রতিষ্ঠ । বহুসংখ্যক লেখক ও পত্রিকা