পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বাঙালী সমাজকে পত্রিকা-সম্পাদনের বিশ্বরূপ দেখাইয়া “আর্থিক উন্নতি । নিজেই নিজের সমালোচনায় সাহায্য করিতেছে । আর জগতের চিন্তাক্ষেত্রে বাঙালীর ঠাই কোথায় তাহাও চোখে আঙুল দিয়া দেখানে। হইতেছে। কি ব্যক্তি, কি জাতি,—উভয়ের পক্ষেই আত্মসমালোচনা একটা মস্ত আধ্যাত্মিক দাওয়াই, আর তাহার জন্ত বস্তুনিষ্ঠ বিশ্ব-বোধ অত্যাবস্তক । “আর্থিক উন্নতি’র সাহায্যে বাঙালী সমাজ নিজের দুৰ্ব্বলতা সম্বন্ধে খানিকট সজ্ঞান হইতে পারিতেছে,—বিশ্বাস করি । মার্কিন ধনসাহিত্য ও যুবক ভারত বিশ বাইশ বৎসর পূৰ্ব্বেকার অবস্থায় ধনবিজ্ঞান বিদ্য বলিলে যুবক ভারত প্রধানত:—বাস্তবিক পক্ষে একমাত্র ইংরেজ পণ্ডিতদের রচনাই বুঝিত। কিন্তু স্বদেশী আন্দোলনের যুগে ( ১৯০৫-৭ ) আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুবক বাংলার আধ্যাত্মিক আত্মীয়তা কায়েম হয় । ইয়াঙ্কিস্থানের নরনারী যুবক ভারতের প্রিয় হইয়া উঠে। তখন হইতে মার্কিণ মুলুকের অর্থনৈতিক সাহিত্য ভারতের চৌহদার ভিতর কিছু কিছু করিয়া প্রবেশ করিতে থাকে। আমেরিক-প্রবাসী ভারতসন্তানেরা মার্কিণ কৃতিত্ব প্রচার করিবার কাজে অন্যতম ব| একমাত্র অগ্রণী । এই প্রচারের অন্ততম ফল ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিণ ধনসাহিত্যের সরকারী ইজ্জত-প্রতিষ্ঠা । এইখানে স্পষ্ট করিয়া বলা যাইতে পারে যে —যুবক-ভারতের পশ্চাতে পশ্চাতে আশুতোষ যতদিকে চলিয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ সাধন করিয়াছিলেন তাহার ভিতর তাহার আমেরিকা-প্রীতির দিকটা অন্যতম । ১৯২০-২৫ সনের ভিতর মার্কিণ ধনসাহিত্য কলিকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ধনসাহিত্যের সঙ্গে প্রায় সমান আসন পাইয়াছে।