পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আস্তে আস্তে প্রবেশ লাভ করিয়াছে। বিগত পাচ সাত বৎসরের ভিতর বাঙালী চিত্তের এইরূপ প্রসার কথঞ্চিৎ সাধিত হইয়াছে । কিন্তু আজ ১৯২৭ সনে ধনবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিদ্যার বাঙালী সেবকেরা প্রায় সকলেই ফরাসী ও জাৰ্ম্মাণ ভাযায় অনভিজ্ঞ । অর্থাৎ এক যুবক বাংলায় এক সঙ্গে দুই মাপকাঠি চলিতেছে। পদার্থবিদ্যা আর প্রাচীন ভারতীয় ততিহাস এই দুই শ্রেণীর বিদ্যাসেবকেরা যে দরের বিজ্ঞান-চচ্চায় হাত দেখাইতেছেন, ধনবিজ্ঞান ইত্যাদির সেবকের সেই দরের কোঠায় উঠিতে পারেন নাই । “আর্থিক উন্নতি”কে প্রতি পদে এই অবস্থাটা মনে রাখিয়া চলিতে হয়। ফ্রান্স ও জাম্মাণির অর্থ নৈতিক চিন্তাপ্রণালীর সাহায্যে যুবক বাংলার মগজট বাড়াইয়। দিবার চেষ্টা করা আমাদের অন্যতম ধান্ধা । ফরাসী ও জাম্মাণ ধনপাণ্ডিত্যের স্বপক্ষে বিশেষ কোনো ওকালতা করা বোধ হয় ভারতে আর দরকার নাই । তবে ভারতের শিক্ষাকেন্দ্রে ফরাসী ও জাম্মাণ ধনসাহিত্য ইয়াঙ্কি ও ইংরেজ ধনসাহিত্যের সমান হজ্জৎ পাইবার অধিকারী,—এ কথা তা স্তরিক ভাবে বিশ্বাস করিতে অনেক ভারত-সন্তান আজও নারাজ ! ,খের কথা । ইভালি ও জাপান “আর্থিক উন্নতি”র কী সংখ্যায়হ ইতালিয়ান আর জাপানী তথ্য ও তত্ত্বের কিছু কিছু হিসাবনিকাস করা হইয়াছে। ইতালি আর জাপানকে যুবক ভারতের চিম্ভামণ্ডলে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আমাদের অন্যতম ধান্ধা। ইতালি ইয়োরোপের “সভ্য” বা “উন্নত” বা “যন্ত্র-নিষ্ঠ” বা “ধনশালী” দেশগুলার ভিতর নিকৃষ্ট। কম সে কম ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মাণি আর ফ্রান্সের