পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুবক বাঙলার কৰ্ম্মক্ষেত্র ミ> বলিয়া বিশ্বাস হয় না। কিন্তু খাটি কথা এই যে,—দুনিয়ার স্বাধীন জাতীয় লোকেরা মহালড়াইয়ের ক্লান্তি কাটাইয়া উঠিতে পারিয়াছে। ১৯১৯ ২০২১ সনে জগতের নরনারী যেন অনেকটা হয়রাণ হুইয়া পড়িয়াছিল। লড়াইয়ের কথা মুখে আনিতে অনেকেই রাজি হইত না। কিন্তু এখন বহুলোকেরই হাড়মাস কিছু চাঙ্গ হইয়া উঠিয়াছে । তাজ প্রাণে জ্যান্ত শরীরে সজাগ মনে আজকালকার যুব ও প্রৌঢ়ের আগামী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হইতেছে । ভারতবাসীর মগজে এই কথাটা প্রবেশ করা আবশ্রাক । বৎসর দু'তিন হইল গ্রীস তুর্কীর নিকট একপ্রকার সব্বস্বাস্ত হইয়াছে। এশিয়া মাইনরের লড়াইয়ের ধাক্ক। সামলাইয়। উঠা গ্রীসের পক্ষে কখনো সম্ভবপর হইবে কি না ইয়োরোপের রাষ্ট্রবীরের এইরূপ আলোচনা করিতেছিলেন । কিন্তু ইতিমধ্যেই দেখিতেছি গ্ৰাস আবার লড়াইয়ের জন্ত তাতিয়া উঠিয়াছে। গ্রীসের রাজধানীতে এবং মফঃস্বলে সৰ্ব্বত্রই রাষ্ট্রনায়কের লোক ক্ষেপাইতে লাগিয়া গিয়াছেন । সৰ্ব্বত্রই রব উঠিতেছে “সাজ সাজ, তুর্কীকে উত্তম-মধ্যম লাগাইয়া দিবার সুযোগ আসিয়াছে।” তুর্কী কন্‌ষ্ঠাটিনোপল হইতে গ্রীক ক্যাথলিক ধৰ্ম্মের মোহস্তকে খেদাইয়া দিয়াছে। এই তাহার অপরাধ। মুসলমানদের খলিফা যে চীজ, গ্রীকদের এই “পাত্রিয়ার্ক” তাই । খৃষ্টিয়ান মোল্লারা গ্রীসের এবং বন্ধান অঞ্চলের অশিক্ষিত নিরক্ষর এবং অৰ্দ্ধশিক্ষিত নরনারীকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপাইতেছে । সকলেই তাতিয়া উঠিয়াছে। গ্ৰীক সরকার স্বয়ংই পণ্টনের খোরপোষ যোগাইবার ব্যবস্থা করিতেছেন । কিন্তু গ্রীসের পক্ষে এৰূল তুকীর সঙ্গে লড়াইয়ে হাজির হওয়া অসম্ভব । তাই বলকান অঞ্চলের অন্যান্ত রাষ্ট্রকে খুষ্টিয়ান জিহাদের জন্ত ডাকা তুক গ্রীস গণ্ডগোল