পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ8や নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAM MMA MM MAM MAM MAMAAAA AAAAAA AA AASASSAAAAAAS AAASASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS AAAAA AeeS eAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA eA AT AAAAS AAASASAAAAASA SAASAASSAAAAA AAAA SAAAAA AAAAA আজকালকার ধন-সাহিত্যে অালোচিত হয় না এমন জিনিষ নাই । তাহার ভিতর হইতে দুই চারটা দফা আলগা করিয়া খোইতে গেলে হয়ত আধুনিক পাণ্ডিত্যের উপর অবিচার করা হইবে। তাহা স্বত্ত্বেও দুই চারটা দফা স্বতন্ত্র ভাবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিবেচনা করিতেছি । প্রথমেই বলিয়া রাখা দরকার যে,—খাটি “থিয়োরি” বা দার্শনিক “তত্ত্ব” আজকালকার ধন-সাহিত্যে অল্পমাত্র ঠাই অধিকার করে। যে কোনো ধন বিজ্ঞান-পত্রিকা খুলিলেই দেখা যায় যে,—তত্ত্বাংশ প্রায়ই নাই। গ্রন্থপঞ্জী হইতেও বুঝা যায় যে, তত্ত্বের দিকে নজর আজকালকার পণ্ডিতদের খুবই অল্প । বিশ্ববাসীর মাথাটা আজকাল খেলতেছে বেশী করিয়া তথ্যের দিকে, অঙ্কের দিকে, ষ্ট্যাটিষ্টিকসের দিকে । আর একটুকু খুলিয়া বলা দরকার। এই ক্ষেত্রে “তত্ত্ব” বলিলে একমাত্র মূল্য-তত্ত্ব বুঝিতেছি। প্রাকৃতিক জগতে মাধ্যাকর্ষণ-তত্ত্বের ষে ইজ্জৎ, আর্থিক জগতে মূল্যতত্ত্বের ইজ্জৎ ঠিক সেইরূপ । কি রেলের মাতুল, কি ব্যাঙ্কের সুদ-ডিস্কাউণ্ট, কি মজুরদের বেতন, কি চাষীর কর, কি মালিকের মুনাফা,– সবই “ভ্যালু্য’ বা মূল্য-তত্ত্বের অন্তর্গত। আর একমাত্র এই তত্ত্বটাই হইতেছে ধনবিজ্ঞানবিদ্যার আসল দার্শনিক ভিত্তি । “আর্থিক উন্নতি” যে যুগে জন্মগ্রহণ করিয়াছে, সেই যুগে এই মূল্য-তত্ত্ব বেশী আলোচিত হয় না । এই সম্বন্ধে ষে কয়টা মতামত বাজারে চলিয়া আসিতেছে সেই সবেরই ঘষামাজ কিছু কিছু ঘটতেছে। তবে সেই দিকেও নজর অল্প। নজরটা কত অল্প তাহ আমাদের বার সংখ্যার কিছু কিছু জানা গিয়াছে।