পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে দেশ-ও-দুনিয়া চর্চা SQ ○ ংগ্রহ থেকে বাঙালীর আর্থিক জীবনের ধারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস কেমনভাবে পরিবৰ্ত্তিত হচ্ছে, তা নিখুঁতভাবে ও বিন বিলম্বে ধরা যেতে পারতো। * প্রঃ—তাহলে ধনবিজ্ঞানের গবেষণা-প্রণালীটাই দেখছি আপনার হাতে একদম বদলে যাচ্ছে । উ:—ব্যবসাপাড়ার ধরণ-ধারণাটা ইস্কুলপাড়ার ভেতর আনতে পারলেই আমাদের অর্থনৈতিক চিন্তাপ্রণালী আর আর্থিক জীবন আগাগোড়া বদলে যেতে পারবে । সেই দিকেই আমার এখন বেশী লক্ষ্য । আমি চাই লালদীঘির জল গোলদীঘিতে এনে ঢালতে । কৃষিশিল্পবাণিজ্যের অভিজ্ঞতাগুলো লিখিয়ে-পড়িয়ে লোকের মগজে প্রবেশ করানো আমার এক বড় ধান্ধা । আমার প্রণালী হচ্ছে একসঙ্গে বহুসংখ্যক বিভিন্ন প্রকারের আর্থিক জীবনের নানা বৈচিত্র্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হওয়া । “আর্থিক উন্নতির” প্রথম তিনটী ভাগে ধনবিজ্ঞানের “তত্ত্ব” (থিওরি ) একটুও স্থান দিই না। ওগুলো শুধু নিছক “ঘটনায় আর "আঙ্কে” ভরা - এ সবের সাহায্যেই মানুষের আর্থিক জীবন সম্বন্ধে নিরেট পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয় । প্রঃ—নামজাদা ধনবিজ্ঞান-পণ্ডিতদের বই পড়া সম্বন্ধে আপনি কি বলেন ? উঃ–ধনবিজ্ঞান বিদ্যায় ওস্তাদ হ’তে গেলে শুধু বই পড়লেই চলবে না। ধনবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলি—যেমন ব্যাঙ্কিং, ইনশিওরেন্স, বহিৰ্ব্বাণিজ্য, যন্ত্রপাতি, মজুর-সমস্ত প্রভৃতি—এদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বস্তুনিষ্ঠ পরিচয় হওয়া চাই। আর তার জন্তে দরকার প্রথম - ভ্রমণ, পর্য্যবেক্ষণ, দেখাশুনা, আর দ্বিতীয়—নানা রকম লোকের সঙ্গে আলোচনা। প্রত্যেক কারবারের বা চিন্তা-প্রণালীর সকল প্রকার প্রতিনিধির সঙ্গে মোলাকাৎ