পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে দেশ-ও-তুনিয়া চর্চা २ (१श्रे একপ্রকার ছিলই না । জীবনের আর্থিক দিকটাকে আমরা বিশেষতঃ বাঙালীরা বরাবরচ অল্পবিস্তর অবহেলা ক’রে এসেছি । সেইজন্য আর্থিক আলোচনা দেশের পক্ষে কতটা মঙ্গলজনক, সে সম্বন্ধে এখন কিছু ধারণ হলেও খুব গভীর ধারণা জন্মায় নি। এ বিষয়ে দেশের লোকের নিশ্চেষ্টত তামি একেবারে ভাঙ্গাতে চাই । আমি তাদেরকে এই সামান্ত কথাট বোঝাতে চাই যে, আর্থিক উন্নতি হচ্ছে শারীরিক নৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নতির এমন কি আধাত্মিক উন্নতিরও এক প্রকাণ্ড খুট। প্রঃ—একমাত্র লেখালেখির জোরে অথবা বক্তৃতার সাহায্যে বাঙ্গালীর মতিগতি ফেরানে সম্ভব কি ? উঃ—আমার কাজ ৫ই শ্রেণীর অন্তর্গত। প্রথমতঃ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত --সকল প্রকার লোককেই কৃষি শিল্প-বাণিজ্যের কাজে নান উপায়ে উৎসাহিত করা আর কিছু কিছু হদিস জোগানে। এদিকে বাঙালীর মেজাজ আজকাল বেশ একটু খেলছেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতম ডিগ্রীধারী অনেক যুবা বহিব্বাণিজ্যে, ফ্যাটরির কাজে, বামা-এজেন্সাতে, চাষ-আবাদে, ব্যাঙ্কের ব্যবসায় ঝুকেছে। নয়। বাঙ্গলার ঐ এক বিশেষ সুলক্ষণ। দ্বিতীয়তঃ, কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য সম্বন্ধে আর তাহার অন্তর্গত অর্থশাস্ত্র বা ধন-বিজ্ঞান সম্বন্ধে উচ্চ অঙ্গের সাহিত্য স্বষ্টি কর। আর লেখক গড়ে তোলা হচ্ছে আর এক কাজ । এ কাজের ফলাফল অবশু রাতারাতি দেখা যাবে না। তবে সুবাতাস বয়েছে , লেখালেখির কাজে পয়সা রোজগারের সম্ভাবনা এক প্রকার নাই। তাই লোক জোট কঠিন । প্রঃ—এই দুই দিকে বাঙালীর ভবিষ্যৎ কেমন মনে হচ্ছে ? উ–ভবিষ্যৎ খুবই আশাপ্রদ। বাঙালীরা এতদিন এই সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রে ও চিন্তাক্ষেত্রে মাথা খেলায় নি। প্রধানতঃ এই জন্তই আমাদের