পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে দেশ-ও-দুনিয়া চর্চা ミや> “বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান পরিষৎ’ প্রতিষ্ঠা করার মূল উদ্দেশ্য এই যে, আমি যেমন মজুর, এ রকম আরও পাচ সাত দশ জনকে মজুর রূপে গড়ে তোল । এ ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য নাই। আমাদের কারবার, —ধনদৌলত সম্বন্ধে কেতাব পড়া, খবরের কাগজ পড়া। এজন্ত, ধনোৎপাদন যেখানে যেখানে ঘটছে সেই সব কৰ্ম্মকেন্দ্রে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে মোলাকাৎ করা আর লেখাপড় করা ইত্যাদি । ধনদৌলত সৃষ্টি করা এই পরিষদের কার্য্য-তালিকার অন্তর্গত নয়, বলাই বাহুল্য। তাতার জন্য ব্যবস্থা চাই অন্য রকমের । জ্ঞানবৃদ্ধি আর সাহিত্য সৃষ্টি ছাড়। এই পরিষদের আর কোনো মতলব থাকতে রে না । ধনদৌলতের আলোচনা করার চরম উদ্দেশু কি ? ধনবিজ্ঞান চর্চায় বাঙালীকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয়দের অন্ততম হ'তে হবে । বাঙালীরা ধনদৌলতের চর্চায় অগ্রগামী জাতিদের অন্যতম হ’তে পারে কিনা, এবং যদি পারে তা হ’লে কি ক’রে হতে পারে এবং কবে হতে পারে, এ সম্বন্ধে আলোচনা করা আমার একট। নেশার মধ্যে পরিগণিত । আর একটা গুরুতর কথা আছে । ধনবিজ্ঞান বিদ্যাকে ইংরেজী ভাষার দাসত্ব হ’তে মুক্তি দেওয়াও আমার একটা উদেশ্ব । অর্থনীতি সম্বন্ধীয় আলোচনা চালাতে হবে বাংলা ভাষার বাহনে, ইংরেজী ভাষা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তিলাভ করে। কতদিনে কি উপায়ে বাঙালীর উচ্চতম শিক্ষা-ক্ষেত্রে ধনবিজ্ঞান শাস্ত্র,—কি কৃষি-বিষয়ক, কি শিল্প-বাণিজ্য-বিষয়ক,—একমাত্র বাংলা ভাষার মারফৎ আলোচিত হবে, একথ। আমার মাথায় যার পর নাই বড় স্থান অধিকার করে । প্রশ্ন ওঠে, এম-এ ক্লাসে বাংলা ভাষার প্রচলন সম্ভবপর কি ?