পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে দেশ-ও-তুনিয়া চর্চা ২৬৫ গবেষণা বস্তুটা হাতী ঘোড়া নয়। বাঙ্গালীর ধনবিজ্ঞান-গবেষণাও ঠিক এইরূপ মামুলি জিনিষে দাড়িয়ে যেতে পারে, যদি বাংলা ভাষার সাহায্যে তথ্য-সংগ্রহ, অঙ্ক-সংগ্রহ, তথ্য-বিশ্লেষণ আর অঙ্ক-বিশ্লেষণ চালাবার ব্যবস্থা করা যায়। “আর্থিক উন্নতি’র মতন দশ বারখানা ধনবিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা বাংলা ভাষায় প্রচারিত হতে থালেই বাংলা দেশে গবেষণা জুজুর ভয় আর থাকবে না। বিদেশী অর্থশাস্ত্রীদের সঙ্গে টকর দিবার কাজে বাঙ্গালী ধনবিজ্ঞানসেবী মাত্রেই সাহসী হ’তে পারবে । আমি বলছি না ইংরেজীকে বয়কট বা বর্জন করতে । বস্তুতঃ, আমি শুধু ইংরেজা কেন, অন্তান্ত ভাষা শিক্ষায়ও উৎসাহ দিয়ে থাকি। তবে মার্কিণ যেমন তাদের দেশীয় ভাষায় নিজেদের শিক্ষাকার্য্য চালায়, জাপানীরা যে রকম নিজের দেশে নিজের ভাষা দ্বারা শিক্ষা প্রচার করে, বাঙ্গালী আমরা সেইরূপ বাংলা ভাষাকেই শিক্ষাদীক্ষার একমাত্র বাহন মনে করবে। আমাদের দাবী এই যে আগামী ৫, ৭, ১০ বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষার প্রত্যেক বিষয়কেই ইংরেজী ভাষার দাসত্ব হতে মুক্তি দিতে হবে । ধনবিজ্ঞানের উচ্চতম আলোচনায় ও পঠনপাঠন-গবেষণার সকল স্তরেই চাহ বাংলা, চাই একমাত্র বাংলা । এই গেল ধনবিজ্ঞান-গবেষণায় যুবক বাংলার পক্ষে চরম লক্ষ্য ও আদর্শের কথা। এইবার কয়েকটা গবেষণার ক্ষেত্র সম্বন্ধে কিছু বলব। নিম্নলিখিত দুই তিনটা বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা চালাতে পারলে আমাদের একটা বড় অভাব পূর্ণ হয়। আগামী তিন চার বৎসরের ভিতর এই সকল আলোচনাই আমার কার্য্য-তালিকায় প্রধান ঠাই দখল করবে। প্রথমতঃ ১৯০৫ সন হ’তে আজ পর্য্যন্ত বাঙালী লেখকেরা বাংলায় ও ইংরেজীতে ধনবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যাহা কিছু চিন্তা করেছেন তাহার একটা ধারাবাহিক বৃত্তান্ত প্রকাশ করা আবশ্যক। তাহার নাম হতে